Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হয়রানি বন্ধে ১৩ সেপ্টেম্বর ‘যাত্রী অধিকার দিবস’ পালনের আহ্বান


১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৮

ঢাকা: বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ১৩ সেপ্টেম্বরকে যাত্রী অধিকার দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে অধিকারবঞ্চিত যাত্রীসাধারণের হয়রানি বন্ধের আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর কারামুক্তি দিবস ১৩ সেপ্টেম্বরকে ‘যাত্রী অধিকার দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশে দীর্ঘ প্রায় দুইদশক ধরে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের প্রবক্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও যাত্রী কল্যাণ সমিতি কণ্ঠরোধ ও কার্যক্রম বন্ধে একটি কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর নানা অপতৎপরতা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েও যাত্রী স্বার্থের আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি। তখন আমরা দেখলাম, তারাই একটি মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় রাতের আঁধারে মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করে । তখন আমরা এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী পিছু হটতে বাধ্য হয়। যার ফলে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আজকের এ দিনে মোজাম্মেল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের সমাজে একে অপরের ওপর দোষ চাপানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাস্তা ভালো না, ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ খায়, আরও অনেক সমস্যার কথা বলতে শুনি। কিন্তু কথা হচ্ছে এগুলোর কারণে যাত্রীরা কেন ভোগান্তির শিকার হবেন? এখন গাড়িতে উঠে আমরা বসার জায়গায় পাবো কি না সেটি নিয়ে ভাবি না। ভাবি আমরা নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কি না? মেয়েরা ভাবে সম্মান নিয়ে তারা নিরাপদে পৌঁছাতে পারবে কি না?’

সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘যাত্রী অধিকার শুধু যাত্রীসাধারণের স্বার্থ রক্ষা করে তা নয়। যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে পরিবহনে নৈরাজ্য, হয়রানি কমার পাশাপাশি সামগ্রিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। সরকারের সামগ্রিক উন্নয়ন আরও দৃশ্যমান হবে। এ জন্য যাত্রী কল্যাণ সমিতির আন্দোলন আরও জোরদার করা প্রয়োজন। যাত্রী অধিকার নিয়ে অন্যান্য দিবসের মতো একটি দিবসও নেই। এইদিনে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত করতে সবপক্ষ দায়িত্ববান আচরণ করবেন এমনটি আমরা প্রত্যাশা করি।’

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতারের পর দেশের সচেতন মহল, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যম যেভাবে প্রতিবাদ করেছে এতে আমি অভিভূত। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। এই আন্দোলনে আমার উৎসাহ আরও বহুগুণ বেড়েছে। যত বাধা-বিপত্তি আসুক দেশে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সড়কে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার কারণে আমরা যে পরিমাণ জিডিপি হারাচ্ছি তা রোধ করা গেলে বাংলাদেশ বহু আগেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো।’

বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ মজুমদার বলেন, ‘যোগ্য চালকের সংকট, ছোট যানবাহনের আধিক্য ও দৌরাত্ম্য আইনের অপপ্রয়োহ জিইয়ে রেখে সড়কে নিরাপত্তা ও যাত্রী অধিকার সুরক্ষিত হবে না।’

দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে যাত্রী অধিকার দিবস” এর ঘোষণাপত্র পাঠ করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।

মোজাম্মেল যাত্রী অধিকার সমিতি যাত্রী হয়রানি সমিতি সুলতানা কামাল

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর