Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে ব্র্যাক


১৯ মার্চ ২০২০ ০০:৪১

ঢাকা: নভেলকরোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে বেসরকারিখাতের আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ব্র্যাক। এ কার্যক্রমের আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারের কাছে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছে দেবে সংস্থাটি। । চলতি বছরের ৫ এপ্রিলের মধ্যে এই বার্তা পৌঁছানোর কাজ শেষ করা হবে। এছাড়াও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও স্বাস্থ্যসেবিকাদেরও।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।

ব্র্যাক ২৫ লাখ লিফলেট ছাপিয়ে বিলি করা শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেণ, করোনা ভাইরাস পরীক্ষা শুধু আইইডিসিআরের কাছে না রেখে সারা দেশের হাসপাতালে দেওয়া যেতে পারে। ঢাকার বাইরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে ঢাকায় আসতে হবে কি না, এমন প্রশ্ন আমাদের কাছে আসছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে আমাদের ডিজিটাল প্রচারণা শুরু হয়েছে। সামাজিকভাবে সচেতনতার বার্তাটি এখনো মানুষের মধ্যে যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। সরকারের আরও বেশি জোর দিতে হবে সচেতনতা তৈরি করতে। না হলে অন্য দেশের মতো আমাদের ভুগতে হবে।

কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানিয়ে আসিফ সালেহ বলেন, প্রথমত আমাদের কর্মী ও যাদের নিয়ে কাজ করে ব্র্যাক তাদের নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ের দুই হাজার কর্মীর মধ্যে যাদের অফিসে আসা জরুরি নয়, তারা ২২ থেকে ২৫ মার্চ বাসায় বসে অনলাইনে অফিসের কাজ করবেন।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত করা হবে। কর্মীরা কাজ করবেন কোভিড-১৯ মোকাবেলায়। সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মী ও ৫০ হাজার স্বেচ্ছা স্বাস্থ্যসেবীকা আগামী দুই সপ্তাহ এই কর্মসূচি পালন করবেন।

এছাড়াও সরকার ব্র্যাকের কাছে যে কোনো সহায়তা চাইলে তা সাধ্যমতো দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান আসিফ সালেহ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা যেন স্পেন-ইতালির মত ভুলটা না করি। ইতালি সাতদিন আগে উদ্যোগ নিলে আজকের এই অবস্থা তৈরি হতো না। সেই উদ্যোগটা যেন আমরাও সাতদিন বা দশদিন পরে না নিই।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, একসঙ্গে অনেক মানুষ আক্রান্ত হলে আমাদের হাসপাতালগুলোর পক্ষে সেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। আমরা যদি এখনই বেসিক দূরত্ব বজায় রেখে হাইজিন ব্যবহার করি তাহলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমবে। সরকারের উচিত বিকল্প আইসোলেটেড ফ্যাসিলিটি তৈরি করা। ইনডোর স্টেডিয়াম ও সরকারি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা সেখানে বেড বসিয়ে দিতে পারবো।

আসিফ সালেহ করোনাভাইরাস ব্র্যাক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর