Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তদন্ত কমিটি


৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:১৯

সিলেট: সিলেটের মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণীর দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এর আগে তারা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে তার বক্তব্য শুনেছেন।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তদন্ত কমিটির তিন সদস্য এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেন। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) শাখার পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন মাউশি’র সহপরিচালক লোকমান হোসেন ও মাউশি’র উপপরিচালক নুরে আলম।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- চুল-দাড়ি ফেলেও রক্ষা মিললো না!

তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থল, প্রত্যক্ষদর্শী ও এমসি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত শেষ হলে তারা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে অধ্যাপক শাহেদুল খবির বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা মাত্র কাজ শুরু করলাম। এরপর একে একে প্রত্যক্ষদর্শীরা যারা, তাদের বক্তব্য শুনব। সবকিছু আমলে নিয়ে আমরা প্রতিবেদন তৈরি করব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাউশি’র এই কর্মকর্তা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। কলেজের নিরাপত্তা, ছাত্রাবাসের ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলোতে কোনো ধরনের ঘাটতি রয়েছে কি না, সবকিছু মিলিয়ে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক একটি প্রতিবেদন ও সাত দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করব।

বিজ্ঞাপন

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী ওই দিন (শুক্রবার) রাতেই বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষণের শিকার তরুণী।

মামলায় এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, এজাহারভুক্ত আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত।

এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ-র‌্যাব। এজাহারের বাইরেও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজন ও আইনুদ্দিন আইনুল নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন ও আইনুদ্দিন রিমান্ডে আছেন। এছাড়া মাহফুজুর রহমান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আর সবশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারেক রহমানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন-

অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী এমসি কলেজ কলেজ ছাত্রাবাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন তদন্ত কমিটি দলবদ্ধ ধর্ষণ মাউশি পরিচালক সিলেট এমসি কলেজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর