Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমসি কলেজে ধর্ষণ: তারেক-মাসুমের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ


৩ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৫৩

সিলেট: মুরারীচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মামলার বাকি ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল।

শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার ‍দিকে রিমান্ডে থাকা দুই আসামি তারেক ও মাসুমকে পুলিশ পাহারায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার জানান, সেখানেই তাদের দু’জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া ও আইনুদ্দিনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর ওসিসিতে নিয়ে যায় শাহপরান থানা পুলিশ। সেখানে তাদের ছয় জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

পুলিশ বলছে, ধর্ষনের ঘটনায় আসামিরা নিজেদের বাঁচাতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। এ কারণে ফরেনসিক টেস্টের জন্য তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল মিললে জানা যাবে, আসামিদের মধ্যে কারা ধর্ষণে জড়িত ছিল।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটক করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী ওই দিন (শুক্রবার) রাতেই বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয় মামলায়। তারা হলেন— এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত। এর মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। এজাহারে উল্লেখ না থাকলেও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দু’জনকে আটক করে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। আট আসামির প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

আসামি তারেক এমসি কলেজ এমসি কলেজে ধর্ষণ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ দলবদ্ধ ধর্ষণ ফরেনসিক স্ত্রীকে ধর্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর