বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাতের গাড়িতে হামলার অভিযোগ
১৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের গাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দলটির নেতারা হামলার জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর হালিশহর থানার ঈদগাহ এলাকায় রূপসা বেকারির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের।
আবুল হাশেম বক্কর সারাবাংলাকে বলেন, ‘২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড থেকে গণসংযোগ শেষ করে আমরা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলাম। আমি আর শাহাদাত সাহেব একই গাড়িতে ছিলাম। রূপসা বেকারির সামনে রামপুরের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গাড়িতে ইট-পাথরের টুকরা নিক্ষেপ করে। তারা লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করেছে। তবে আমরা গাড়ি থামানোর পর তারা দ্রুত চলে যায়। লাঠিসোঠা নিয়ে ২০-২৫ জন সেখানে আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল। আমরা এসময় কোনো পুলিশ সেখানে দেখিনি।’
হামলায় গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রার্থী শাহাদাতসহ প্রচারণায় যাওয়া নেতারা অক্ষত আছেন বলে জানিয়েছেন আবুল হাশেম বক্কর।
জানতে চাইলে নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘এক ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষ করে আরেক ওয়ার্ডে প্রবেশের সময় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। হামলা বা গাড়ি ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কয়েকজন সামান্য বাধা সৃষ্টি করে নিজেরাই আবার সরে যায়। বিএনপির প্রার্থী পরে নির্বিঘ্নে সেখানে গণসংযোগ করেছেন।’
এদিকে গণসংযোগে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন।
গণসংযোগে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা এখন প্রার্থীদের ওপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আজ গণসংযোগ করার সময় আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। রামপুর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যম রামপুর বড়পুকুর এলাকায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসী সাইফুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর সময় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ অবস্থায় ভয়-ভীতিহীন পরিবেশ নির্বাচন করতে হলে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।’
শাহাদাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি, মারামারি করছে। তাদের গ্রেফতার না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা কোনো ধরনের হানাহানি, মারামারি চাই না। রাজনৈতিক মামলায় কাউকে হয়রানিও চাই না।’
সারাবাংলা/আরডি/এমআই