Wednesday 04 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩ মে ২০২১ ২০:৫৩ | আপডেট: ৩ মে ২০২১ ২১:৫৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: রমজান ও ঈদ উপলক্ষে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিকতার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে। এবারে ৪৫ বিলিয়ন বা চার হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে এই রিজার্ভ।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সোমবার (৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের স্থিতি ছিল ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যখন স্থবির, তখন প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে রেমিট্যান্সের প্রবাহে ইতিবাচক ধারা দেখা দেয়। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে রীতিমতো রেকর্ডভাঙা রেমিট্যান্স আসতে থাকে দেশে। এর প্রভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও একের পর এক নতুন রেকর্ড ভাঙতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- ১০ মাসে রেমিট্যান্স পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভের সেই রেকর্ড টিকে ছিল প্রায় তিন বছর। গত বছরের ৪ জুন প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে নতুন রেকর্ড গড়ে। এরপর থেকে গত ১০ মাসে একের পর নতুন রেকর্ড হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে।

গত ২৪ জুন রিজার্ভ ৩৫ বিলিয়ন ডলারে, ৩০ জুন ৩৬ বিলিয়ন ডলারে ও গত ২৮ জুলাই ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট রিজার্ভ ৩৮ দশমিক ১৫ বিলিয়ন এবং ১ সেপ্টেম্বর ৩৯ দশমিক ৪০ ডলারে উন্নীত হয়। রিজার্ভ বৃদ্ধির গতি অব্যাহত থাকে এরপরও। ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলার, ৩০ অক্টোবর ৪১ বিলিয়ন ডলার, ১৫ ডিসেম্বর ৪২ বিলিয়ন ডলার এবং গত বছর শেষ হওয়ার একদিন আগে ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ বিলিয়ন ডলারের উচ্চতায় উন্নীত হয় রিজার্ভ।

চলতি বছরের শুরু থেকেও রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি অব্যাহত ছিল। সেই সুবাদে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ৪৪ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। সবশেষ এবারে এই রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মাইলফলকও অতিক্রম করে গেল। সে হিসাবে এ বছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার অর্থ যোগ হলো রিজার্ভে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। প্রতি মাসে সাড়ে তিন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান এই মজুত দিয়ে ১২ মাস বা একবছরের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক কোটির বেশি প্রবাসী রয়েছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স জিডিপিতে অবদান রাখেছে ১২ শতাংশের বেশি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ ১০টি দেশ হলো— সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, ওমান, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, সিঙ্গাপুর ও ইতালি।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর