Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু: হেলপার-সুপারভাইজার রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৩২

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাসের চাপায় একরামুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজর শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অনাবিল পরিবহনের সুপারভাইজার ও হেলপারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই, নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আল আমিন মীর সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

বিজ্ঞাপন

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— অনাবিল পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার গোলাম রাব্বী ওরফে বিন রহমান ও হেলপার চাঁন মিয়া। ওই গাড়ির চালক মো. সোহেল দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতার মারধরের শিকার হয়েছিলেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন-

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা ঘাতক বাস অনাবিল সুপার ঢাকা মেট্রো ব-১৫-০৮৫৬ গাড়ির সুপাভাইজার ও হেলপার। দুর্ঘটনার সময় মাইনুদ্দিন পূর্ব রামপুরার মূলক সড়কটি পারাপারের সময় বাড্ডার দিক থেকে মালিবাগের দিকে যাওয়া এই বাসটি দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চলমান অবস্থায় তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইনুদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করে এবং কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দেয়। দুর্ঘটনাটি দেশব্যাপী চাঞ্চল্য তৈরি করে।

বিজ্ঞাপন

একই ঘটনায় বাসে অগ্নিসংযোগ ও বাস ভাঙচুরে অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলায় শহীদ বেপারী নামে এক আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম এ আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের ওই বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। মাইনুদ্দিন এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তবে তারা দীর্ঘ দিন ধরেই রামপুরার তিতাস রোড এলাকায় বসবাস করছিল। মাইনুদ্দিন নিহতের ঘটনায় তার মা রাশিদা বেগম সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন।

বাসচাপায় মাইনুদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবেই বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে। দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বলছে, ওই সময় কমপক্ষে চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে কমপক্ষে আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

রামপুরার এই দুর্ঘটনার ক’দিন আগেই রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান। এরপর ফের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে থেকেই গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের ‘হাফ পাস’ নিশ্চিতের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। বাসচাপায় মাইনুদ্দিনের নিহতের ঘটনা সেই আন্দোলনকেই আরও তীব্র করেছে।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

অনাবিল পরিবহন বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর