তৈমুর কাকা যেগুলো বলেছেন, সেগুলোও করব: আইভী
১৬ জানুয়ারি ২০২২ ২১:২৩
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের দেওয়া নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিগুলোও বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তিনি বলেন, আমি যেসব নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সেগুলো পূরণ করব। তৈমুর কাকা (তৈমুর আলম খন্দকার) যেগুলো বলেছেন (নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি), তার সঙ্গে কথা বলে সেগুলোও করব।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে নিজ বাসভবনে নির্বাচনে বেসরকারি ফলে জয়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসিক নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার জয় পাওয়ায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে আইভী বলেন, নগরবাসী আবার আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন। তারা আমার পাশে আগেও ছিলেন, এখনো আছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন-
- লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিতব: তৈমুর
- আইভীও বললেন— লক্ষাধিক ভোটে জিতব
- উচ্ছ্বসিত তরুণ ভোটররা, মেতেছেন আনন্দেও
- ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি তৃতীয় লিঙ্গের পায়েল
- নাসিকে হার— তৈমুরের ‘কাঠগড়া’য় ইভিএম ও প্রশাসন
- ভোটে উৎসবের আমেজ, ইভিএম নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টি
- বিদায়লগ্নে একটি ভালো নির্বাচন দেখতে চাই: মাহবুব তালুকদার
- নৌকা হেরে গেলেও দায় আমার কাছে আসবে না: শামীম ওসমান
- নাসিক ভোটে ‘ভালো’ উপস্থিতির কথা জানালেন রিটার্নিং কর্মকর্তা
- অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া শেষ হলো নাসিকের ভোট, অপেক্ষা ফলাফলের
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের জনগণ আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমি আগে যেসব কাজ করেছি, সেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাব।
ভোট নিয়ে কোনো পর্যবেক্ষণ রয়েছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ভোট কাস্টিং কোথাও কোথাও ধীরগতির ছিল। ভোট কাস্টিংটা আরও দ্রুত হলে ভালো হতো।
এর আগেও মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। এবারও তিনি যাবেন কি না— প্রশ্ন রাখেন গণমাধ্যমকর্মীরা। জবাবে আইভী বলেন, অনুমতি দিলে যাব। অনুমতি না দিলেও যাব।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটির তৃতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ নিয়ে তিন বারই জয় পেলেন আইভী। এর আগে, ২০১১ সালের প্রথম নির্দলয়ী প্রতীকের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমানকে হারিয়ে জয় পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় এই সিটিতে। সেবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকে পরাজিত করেন তিনি।
এবারে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় দলীয় কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আইভীর বিরুদ্ধে। এর জন্য জেলা কমিটিসহ দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদও হারিয়েছেন তিনি। কিন্তু ভোটে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলেন আইভী।
সারাবাংলা/টিআর