ইউক্রেন পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৫৯
ঢাকা: ইউক্রেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনেরও আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বার্তাসংস্থা বাসস-এর খবর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংলাপ ও সহযোগিতার চেতনা বজায় রেখে এই সংকট নিরসনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতি আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই সংকটের সমাধানের উপর অঞ্চল ও এর বাইরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নির্ভর করে যা কেবল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এমন নিশ্চয়তা দাবি করে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে মস্কো। ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া যেকোনো সময় সামরিক হামলা চালাতে পারে। তবে রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, সামরিক হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। এদিকে গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর ও প্রতিবেশী বেলারুশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে মস্কো—যা তিন দিকে ঘিরে ইউক্রেন হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলে মনে করছে ন্যাটো।
ক্রেমলিনের এমন অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েনের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোর প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ ইউক্রেনে ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠিয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউরোপে সাড়ে আট হাজার সেনাকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছে ওয়াশিংটন। টানটান পরিস্থিতি যেকোনো সময় সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন
- আমরা যুদ্ধ চাই না: রাশিয়া
- ন্যাটো কী এবং কখন কাজ করে
- ইউরোপের যেসব জায়গায় ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন
- পূর্ব ইউক্রেনে ভাড়াটে সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো
- ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা বাল্টিক দেশগুলোর
- রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে আমেরিকা
- রুশ হামলার সম্ভাব্য তারিখ জানালেন ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল
- চীন-তাইওয়ান, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত— ২ ফ্রন্টে যুদ্ধ করবে আমেরিকা?
সারাবাংলা/আইই