তাদের আশার গুড়ে বালি, লড়তে হবে হেভিওয়েটদের সঙ্গে
২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০০
ঢাকা: শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপি (নিবন্ধন নম্বর ৪৫, প্রতীক সোনালী আঁশ), শাহ মো. আবু জাফর ও ড. মো. শাজহাজানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম, নিবন্ধন নম্বর ৪৮, প্রতীক নোঙ্গর) এবং শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ ও মো. আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি, নিবন্ধন নম্বর ৪৯, প্রতীক একতারা) এবারের নির্বাচনে সব চেয়ে বড় ‘ট্র্যাজিক’ পরিণতির শিকার হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। কেননা যে আশায় নির্বাচনে এসেছিল দল তিনটি, সে আশার গুড়ে বালি পড়েছে।
বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি যখন অনড়, ঠিক তখন দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আভাস দেন। অন্যদিকে বিএনপির আরেক বর্ষীয়ান নেতা, সাবেক চার বারের সংসদ সদস্য শাহ মোহম্মদ আবু জাফর বিএনএমের দায়িত্ব নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দেন।
রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের প্রায় সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেন, আর কিছু না হোক, বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে শাহ মো. আবু জাফর ও মহাসচিব হিসেবে ড. মো. শাহ্জাহান এবং তৃমূল বিএনপির চেয়ারম্যান হিসেবে শমসের মবিন চৌধুরী ও মহাসচিব হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকারের আসন নিশ্চিত! নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে এই দুই দল থেকে মনোনয়ন পাওয়া আরও অন্তত ১৫/২০ জনকে আসন ছাড় দেবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ— এমন ধারণাও বদ্ধমূল ছিল অনেকের মনেই!
আরও পড়ুন-
- নৌকা না পেয়ে হতাশ ২ ভাণ্ডারি
- ১৪ দলের শরিকদের আসন কমে ৬
- নির্বাচনি সমঝোতার ‘বলি’ সালাম-নোমান
- নির্বাচনি ট্রেন থেকে নেমে পড়তে চাচ্ছে অনেকেই
- সমঝোতায় বাদ পড়লেন জাপার ‘হেভিওয়েট’ ৬ নেতা
- চট্টগ্রামে দিলীপ বড়ুয়া, সৈয়দ ইবরাহিমের প্রার্থিতা প্রত্যাহার
- জাপাকে যে ২৬টি আসন ছাড়ল আওয়ামী লীগ [তালিকাসহ]
- বিকল্প-তরিকতের জুটল না কিছুই, এবারও শূন্য হাতে সাম্যবাদী
পাশাপাশি এটিও অনেকেই মনে করেছিলেন— রাজপথে শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ ও মো. আব্দুল আজিজ সরকারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকেও (বিএসপি) আসন ছাড় না দিয়ে পারবে না নির্বাচন নিয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে থাকা আওয়ামী লীগ। ধরেই নেওয়া হয়েছিল— শমসের মবিন চৌধুরী, তৈমুর আলম খন্দকার, শাহ মো. আবু জাফর, ড. মো. শাহজাহান, শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ ও মো. আব্দুল আজিজ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ার বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত!
কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এসে নিশ্চিত হয়েছে, ‘কিংস পার্টি’র তকমা পাওয়া বিএনএম, বিএসপি ও তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে যাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। অনেক দেন-দরবারের পর কেবল জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬ এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য মাত্র ছয়টি আসন ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসনীরা।
এমন পরিস্থিতিতে ১৩৩ আসনে তৃণমূল বিএনপি, ৭৯ আসনে বিএসপি ও ৫৪ আসনে বিএনএমের প্রার্থীদের যথাক্রমে সোনালী আঁশ, একতারা ও নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। শুধু নৌকা নয়, মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গেও লড়তে হবে তাদের। এ ব্যাপারটিকে বিএনপি ছেড়ে আসা ‘দুই কূল’ হারানো নেতাদের জন্য রীতিমতো দুরুহ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি ‘বেকায়দায়’ আছেন ‘হঠাৎ’ বিএনপি ছেড়ে আসা শাহ মো. আবু জাফর। ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যকে লড়তে হবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমানের সঙ্গে। পাশাপাশি কৃষক লীগের সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনকেও মোকাবিলা করতে হবে তাকে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দোলন।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবাইট এবং উন্মুক্ত বিশ্বকোষের তথ্য ঘেটে জানা যায়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী আব্দুর রউফ মিয়ার সঙ্গে ২২ হাজার ৮৯৩ ভোটের ব্যবধানে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে ৮ হাজার ৮৭৯ ভোটের ব্যবধানে, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একই প্রার্থীর সঙ্গে ৬ হাজার ৯৪৬ ভোট এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহমানের সঙ্গে এক লাখ ৩ হাজার ১০২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন শাহ মো. আবু জাফর। অর্থাৎ যতবার আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পেয়েছেন, ততবারই হেরেছেন তিনি। যে চারবার জিতেছেন, তার কোনোবারই আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে হয়নি তাকে। এবার তিনি বিএনপি ছেড়ে বিএনএমের প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে হবে না— এমনটি ভেবেই। কিন্তু সব হিসাব-নিকাশ উল্টে যাওয়ায় এবার তাকে আওয়ামী লীগের দুজনকে মোকাবিলা করতে হবে। শুধু তাই নয়, বিএনপিকেও পাশে পাবেন না তিনি!
জানতে চাইলে সারাবাংলাকে শাহ মো. আবু জাফর বলেন, ‘নির্বাচনে আছি, নির্বাচনে থাকব। অতীতে চার বার এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। এবারও তারা আমাকে ভোট দেবে। প্রতিকূল পরিস্থিতের মধ্যে নির্বাচন করে জিতে আসার অভিজ্ঞতা আমার আছে।’
আরও পড়ুন-
- ইসিতে হিসেবে নিবন্ধন পেল বিএনএম ও বিএসপি
- বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিএনপির আবু জাফর
- ২৩০ আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা তৃণমূল বিএনপির
- তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের, তৈমুর মহাসচিব
- রাজশাহীতে নেই তৃণমূল বিএনপির কমিটি, প্রার্থীরাও বহিরাগত
- বিএনপি নেতারা ভর করছেন বিএনএমে, প্রার্থী রাজশাহীর ৬ আসনেই
শক্ত প্রতিপক্ষ বিবেচনায় তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের চ্যালেঞ্জ সবচেয়ে বড়। রূপগঞ্জ-১ আসনে তার প্রতিপক্ষ গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। টানা তিন বারের সংসদ সদস্য এবং বর্তমান সরকারের বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী টানা তিন নির্বাচনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে ৪৭ হাজার ৬০৬ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামনকে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শওকত আলীকে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২ লাখ ২৭ হাজার ৩০৫ ভোটের ব্যবধানে আবারও বিএনপি প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে পরাজিত করেন গোলাম দস্তগীর গাজী। ভোটের সাফল্যের পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় অভূতপূর্ব উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডের কারণে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রতিপক্ষ দল তো বটেই নিজ দলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী তেমন নেই।
এ রকম বাস্তবতায় গোলাম দস্তগীর গাজীর নৌকার বিরুদ্ধে সোনালী আঁশ নিয়ে কতটুকু লড়তে পারবেন তৈমুর আলম খন্দকার— তা নিয়ে প্রশ্ন সব মহলের। অধিকন্তু এ আসনে কখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে গুলশান কার্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার অবতারণা করেন তৈমুর আলম খন্দকার। ওই দিন থেকেই দলের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। সর্বশেষ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২০২২ সালে বিএনপি থেকে বহিষ্কার হন তিনি।
জানতে চাইলে তৈমুর আলম খন্দকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি কাউকে হেভিওয়েট মনে করি না, আবার আন্ডাওয়েটও মনে করি না। মানুষ ভোট দেবে আমাকে দেখে। প্রতিপক্ষকে দেখে নয়। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকেও লড়তে হবে আওয়ামী লীগের আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে। এ আসন থেকে ১৯৯৬ সালে ১৯ হাজার ২৭৪ ভোটের ব্যবধানে জাতীয় পার্টির (জাপা) মো. মুজাম্মিল আলীকে, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৮৬ হাজার ৫৫৯ ভোটের ব্যবধানে জামায়াতের হাবিবুর রহমানকে পরাজিত করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরের দুই নির্বাচনেও প্রতিপক্ষের প্রার্থীকে বিপুল সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে সোনালী আঁশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শমসের মবিন চৌধুরী। আট বছর আগে বিএনপি ছেড়ে আসা শমসের মবিন চৌধুরীর কোনো ভোটব্যাংক নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমঝোতার মাধ্যমে নৌকা প্রতীক পাবেন— এমন সমীকরণ থেকেই তৃণমূল বিএনপির দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। যে আশায় তার নির্বাচনে আস, সে আশার গুড়ে এখন বালি।
জানতে চাইলে শমসের মবিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষ কত শক্তিশালী, সেটা নিয়ে ভাবা বুদ্ধিমানের কাজ না। বরং নিজের ওপর কনফিডেন্স রাখাটা জরুরি। আমি বিশ্বাস করি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন হলে জনগণ আমাকে ভোট দেবে।’
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে ভোটে লড়ার জন্য নৌকা প্রতীকের আশায় উন্মুখ ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভাণ্ডারি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে নৌকা প্রতীক দেয়নি আওয়ামী লীগ। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
ফটিকছড়ির এই আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দুই দফায় নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি। এক সময়ের আওয়ামী লীগ নেতা মাইজভাণ্ডারি ১৯৯১ সালে এ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি ছেড়ে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন গঠন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে দলবল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে ভেড়েন নজিবুল বশর।
সেই নজিবুল বশরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমেদ আল মাইজভাণ্ডারি এবার নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি গড়ে তোলেন এবং নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনও পান। সবাই ধরে নিয়েছিল, নির্বাচনের মাঠে দলের সংখ্যা বাড়াতে সুপ্রিম পার্টিকে অন্তত একটি আসন ছাড়বে আওয়ামী লীগ। সন্দেহাতীভাবে সেটি হবে সাইফুদ্দিন আহমেদ আল মাইজভাণ্ডারি। চাচাকে টেক্কা দিয়ে নৌকা প্রতীক হাতিয়ে নেবেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়নি। চাচা-ভাতিজার কাউকেই নৌকায় চড়ার সুযোগ দেয়নি আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম-২ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করা আওয়ামী লীগ নেতা এইচ এম আবু তৈয়বও। অর্থাৎ নৌকা, স্বতন্ত্র এবং চাচা মুজিবুল বশরের সঙ্গে লড়াই করতে হবে সাইফুদ্দিন আহমেদকে।
সারাবাংলাকে সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আমাদের জন্য হতাশাজনক। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আমাদের কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হোপফুল কিছু হলো না।’
সারাবাংলা/এজেড/টিআর
আসন ভাগাভাগি আসন সমঝোতা জাতীয়-নির্বাচন তৃণমূল বিএনপি তৈমুর আলম খন্দকার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বিএনএম বিএসপি শমসের মবিন চৌধুরী শাহ মো. আবু জাফর শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ সংসদ নির্বাচন