ধর্ষকদের ‘ক্রসফায়ার’: মিষ্টি বিতরণ, খুশি নির্ভয়ার বাবা
৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৭
২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির বাসে নির্ভয়া ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা ভারত। সে হত্যাকাণ্ডের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।
এবার হায়দ্রাবাদে এক পশু চিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চার আসামি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইঙ্গিত করে অনেকে এ ব্যাপারে শঙ্কা জানালেও ভারতের সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছেন ধর্ষকদের মৃত্যুতে। অনেক এলাকায় করা হয়েছে মিষ্টি বিতরণ। নির্ভয়ার পরিবারও জানিয়েছে তারা পুলিশের এই পদক্ষেপে খুশি।
নির্ভয়ার মা আশা দেবী বলেন, সাত বছর ধরে আমি অপেক্ষা করছি। এক আদালত থেকে অন্য আদালতে যাচ্ছি। আদালতে আর্জি জানিয়েছি ওদের ফাঁসিতে ঝোলানোর জন্য। কিন্তু আদালত জানিয়েছে, ওদেরও মানবাধিকার রয়েছে। এভাবে ফাঁসি দেওয়া যাবে না। কিন্তু সেটাই আজকের দিনে দরকার। তেলেঙ্গানা পুলিশের আজকের পদক্ষেপে কিছু পরিবর্তন হবে। আমি খুব খুশি।
নির্ভয়ার বাবা বদ্রিনাথ সিংহ জানিয়েছেন, আমি এই এনকাউন্টারে খুশি। কেননা আমাদের মেয়ের ধর্ষকরা এখনও জীবিত এবং আমরা রোজ মরছি। তেলেঙ্গানার মেয়েটির বাবা-মাকে অন্তত এর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। যদি অভিযুক্তরা পালিয়ে যেত তাহলে তা তেলেঙ্গানার পুলিশের কাছেও খুব খারাপ ব্যাপার হত। ওরা ভাল কাজ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পালাতে চেষ্টা করছিল। তারা এমনকি পুলিশের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। এরপরই পুলিশ তাদের গুলি করে।
গত ২৭ নভেম্বর হায়দ্রাবাদের কাছে টোল বুথের এলাকায় চার তরুণ ২৬ বছরের পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করে। অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ, জলু শিবা, জলু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশবালু। এদের মধ্যে মহম্মদের বয়স ২৬। বাকিদের বয়স ২০।
খবর এনডিটিভির।