Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রেমাল উপকূল অতিক্রম শুরু করবে সন্ধ্যায়, শেষ হবে মধ্যরাতে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২৪ ১৬:৪৭

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। রোববার চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। ছবি: শ্যামল নন্দী/ সারাবাংলা

ঢাকা: উপকূলের দিকে ক্রমেই এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় এটি পায়রা বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ছিল। সন্ধ্যা ৬টার পর এটি উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশের প্রথম ধাপ উপকূল অতিক্রম শুরু করবে সন্ধ্যার পর। মধ্যরাত নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শেষ করবে। রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার ঝড়টির যে গতি ছিল তাতে মনে হয়েছিল রোববার সকালে উপকূল অতিক্রম করবে। কিন্তু ভোরে কিছুটা গতি কমে যায়। তিন ঘণ্টা পর তা আবার বেড়ে যায়। এখন ধারণা করা হচ্ছে, সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করবে রেমাল।

আরও পড়ুন-

মুহিবুর রহমান আরও বলেন, আগে এর গতি ছিল ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত কিলোমিটার। ভূমির স্পর্শ পেলে ঘূর্ণিঝড়ের গতি বাড়তে পারে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন থেকে টার ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছে দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম চলতে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার দক্ষিণও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মোংলার কাছে দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্ছতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

আশ্রয়কেন্দ্র ঘূর্ণিঝড় ঘূর্ণিঝড় রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বিপৎসংকেত রেমাল সতর্ক সংকেত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর