বিজ্ঞাপন

ধেয়ে আসছে রেমাল, কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র

May 26, 2024 | 10:19 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

কক্সবাজার: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে এরই মধ্যে বৃষ্টি আর বাতাস বইতে শুরু করেছে কক্সবাজারে। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জানিয়েছে, আপৎকালীন সময়ে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র।

বিজ্ঞাপন

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে যেকোনো সময় পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরই মধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করেছে। ওই সভায় কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে যাচ্ছে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে এটি আঘাত হানতে পারে উপকূলীয় অঞ্চলে। মাছ ধরার সব ট্রলারকে উপকূলে চলে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- উপকূলের ১৬ জেলার নদীবন্দরে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপপরিচালক মো. হাসানুল আমিন বলেন, দুর্যোগকালীন মাঠে সিপিপির প্রায় আট হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। রেড ক্রিসেন্টের আরও প্রায় দুই হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবক তাদের সঙ্গে কাজ করবে। তারা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিয়োজিত থাকবে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে তারা মানুষকে বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবারের সংকট হবে না। জিআর চাল বরাদ্দ রয়েছে ৪৮৬ মেট্রিক টন। নগদ দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা আছে। দুযোর্গ তহবিলে আছে ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৮ টাকা। ঢেউটিন মজুত আছে ২৩ বান্ডল, টিনের সঙ্গে গৃহ নির্মাণ বাবদ ৬৯ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

এদিকে রেমালের প্রভাবে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, তখনো একটু ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে দমকা হাওয়াও বয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন