বিজ্ঞাপন

উপকূলের ১৬ জেলার নদীবন্দরে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত

May 26, 2024 | 9:54 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এগিয়ে আসছে উপকূলের দিকে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারেই এটি আঘাত হানতে পারে স্থলভাগে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে মোংলা-পায়রা বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় ১৬টি জেলাার নদীবন্দরে আবহাওয়া অধিদফতর জারি করেছে সর্বোচ্চ ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ মে) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত বিশেষ বুলেটিনে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এসব জেলায় ১২ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার তীব্র জলোচ্ছ্বাসও আঘাত করতে পারে।

যে ১৬টি জেলার নদীবন্দরে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে সেগুলো হলো— খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

আরও পড়ুন- রেমালে প্লাবিত হতে পারে ১৬ জেলা, ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

বিজ্ঞাপন

সমুদ্রবন্দরের জন্য বিপৎসংকেত ১১টি হলেও নদীবন্দরের জন্য বিপৎসংকেত চারটি, যার মধ্যে মধ্যে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেতই সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কসংকেত। এই সংকেতের অর্থ হলো— বন্দর এলাকা একটি প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত এবং শিগগিরই এটি বন্দর এলাকায় আঘাত করবে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি। এ অবস্থায় সব ধরনের নৌ যানকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।

নৌ মহাবিপৎসংকেতের পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সর্বশেষ তথ্য বলছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশেল পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ উপকূলে আঘাত হানতে পারে রেমাল। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময়ও এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারেই থাকতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন