বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জেনে নিন কোন সংকেতের কী অর্থ

May 26, 2024 | 12:02 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এরই মধ্যে এটি সাগরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে রূপ নিয়েছে। রোববার (২৬ মে) সকালে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরেও চলছে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি বলছে, রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে যেকোনো সময় এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ঘূর্ণিঝড়ের সময় আবহাওয়া অধিদফতরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা কেন্দ্র থেকে সমুদ্রবন্দরের জন্য সতর্কতা হিসেবে ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সতর্ক ও বিপৎসংকেত জারি করা হয়। ঘূর্ণিঝড় বন্দর থেকে কত দূরে অবস্থান করছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর কতটা উত্তাল, বাতাসের গতিবেগ কেমন— এসব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে দূরবর্তী সতর্ক সংকেত, স্থানীয় সতর্ক সংকেত, স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত, বিপৎসংকেত বা মহাবিপৎসংকেত জারি করা হয়ে থাকে। এর সর্বশেষ মাত্রা ১১ নম্বর যোগাযোগবিচ্ছিন্ন সংকেত। একে নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন সংকেতের অর্থ কী—

আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে রেমাল, কক্সবাজারে প্রস্তুত ৬৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র

১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত

জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় একটি ঝড়ো হাওয়ার অঞ্চল রয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬১ কিলোমিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড় তৈরি হবে।

বিজ্ঞাপন

২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত

দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় তৈরি হয়েছে। সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবলিত হবে না। তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ পথে বিপদে পড়তে পারে।

৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

বন্দর ও বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলোর দুর্যোগ কবলিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণি বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত

বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।

বিজ্ঞাপন

৫ নম্বর বিপৎসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝঞ্ঝাবহুল সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

আরও পড়ুন- উপকূলের ১৬ জেলার নদীবন্দরে ৪ নম্বর নৌ মহাবিপৎসংকেত

৬ নম্বর বিপৎসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝঞ্ঝাবহুল সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েছে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

৭ নম্বর বিপৎসংকেত

বন্দর ছোট বা মাঝারি তীব্রতার ঝঞ্ঝাবহুল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরের ওপর দিয়ে বা এর কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

বন্দর প্রচণ্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতার ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে নিপতিত। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের ওপর দিয়ে বা এর কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।

১১ নম্বর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত

আবহাওয়ার বিপদ সংকেত প্রদানকারী কেন্দ্রের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং স্থানীয় কর্মকর্তা আবহাওয়া পরিস্থিতি দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন