নেইমারের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান সাইফউদ্দিন
৭ এপ্রিল ২০২০ ১৬:৪৩
শিরোনাম দেখে কেউ ভ্রু কুঁচকাবেন না। ভাববেন না, দুজনের খেলার জগৎই তো আলাদা তাহলে ব্রাজিলিয়ান পোস্টার বয়ের সঙ্গে মিলটা কোথায় খুঁজে পান টাইগার অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন? না! এখানে খেলোয়াড় সুলভ বা টেকনিক্যাল সাদৃশ্যতার কথা বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে ইনজুরির সাদৃশ্যতার কথা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের ইনজুরি এবং তা জয় করে মাঠে ফিরে আসা সম্ভবত ফুটবল বিশ্বের অন্যতম আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কত শতবার তিনি ইনজুরিকে আলিঙ্গন করেছেন এবং সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরেও এসেছেন, তা হয়ত খোদ নেইমারও বলতে পারবেন না! একের পর এক তার ইনজুরি ও ফেরার লড়াই প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়। যা চোখ এড়ায়নি ইনজুরি প্রবণ সাইফউদ্দিনেরও। তাই নেইমারের সঙ্গে তার নিজেরও মিল খুঁজে পান সাইফউদ্দিন।
সংখ্যার হিসেবে নেইমারের মতো অতবেশি না হলেও নেহায়াৎ কম নয়। অনূর্ধ্ব-১৫ তে প্রথমবারের মতো হানা দিল পিঠের ব্যথা। যা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলাকালীন আবারও ফিরল। এরপর মোটামুটি লম্বা সময় বিরতি নিয়ে আবার তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। যদিও শুরুটা হয়েছিল আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ চালাকালীন। তার মাস দুয়েক আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন চোট পেয়েছিলেন কনুইয়ে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে শ্রীলংকা সিরিজের জন্য যখন প্রস্তুত হচ্ছিলেন আবার সেই পিঠের ব্যথা ফিরল। যা শরীরে জেঁকে বসেছিল লম্বা সময়ের জন্য।
তাতে প্রায় ছয় মাস ছিলেন মাঠের বাইরে। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে সেই যে দেশের মাটিতে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছিলেন তারপর ফিরলেন সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে। ইনজুরির লম্বা এই সময়টিতে মাঝে মাঝেই তাকে হতাশা পেয়ে বসত। কিন্তু হতাশাকে স্থায়ী আসন গেঁড়ে বসতে দেননি মন কিংবা মস্তিষ্কে। নিজের সঙ্গেই চালিয়ে গেছেন মাঠে ফেরার নিরন্তর লড়াই। আর এই লড়াইয়ে তাকে প্রেরণা যুগিয়ে গেছেন সেই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়র। বারবার ইনজুরিতে পড়া এবং তা জয় করে মাঠে ফেরা দুজনকেই যেন এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছে।
প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন হাঁটুতে আটবার অস্ত্রোপচার হওয়া লাল সবুজের জীবন্ত কিংবদন্তী মাশরাফি বিন মুর্ত্তজাও। যখনই মন খারাপ হয়েছে তাদের কথা ভেবেই নিজেকে উজ্জীবিত করেছেন। আর শতভাগ ফিট হয়ে বল হাতে তুলে নিতে কাজ করেছেন ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো।
নিজ শহর ফেনী থেকে মুঠোফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথাই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের মহাগুরুত্বপূর্ণ এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। কথা বলেছেন বিশ্বকাপের সময় ঘটে যাওয়া অনভিতপ্রেত ঘটনাসহ আরো নানান বিষয়ে। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা তুলে ধরা হলো-
সারাবাংলা: বিশ্বকাপের সময়টা ইনজুরিতে ছিলেন। সেটা না হলে নিশ্চয়ই আরো ভাল খেলতে পারতেন?
সাইফউদ্দিন: দেখেন মানুষের চাহিদার শেষ নেই। ইনজুরড ছিলাম তবে যতক্ষণ মাঠে ছিলাম কখনোই বুঝতে দেইনি যে আমি ইনজুরড। বল করেই গিয়েছি। তখন আসলে একটা ভাবনাই ছিল, যাই হোক খেলেই যাব। যখন বল করতাম তখন মানসিকতাও ওভাবে সেট করে নিয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা খেলার প্রচন্ড ইচ্ছে থাকলেও শরীর থেকে সাড়া পাইনি। আপনারা সবাই হয়ত জানেন যে কয়টা ম্যাচ আমি ইনজেকশন নিয়েও খেলেছি। তারপরেও সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।
সারাবাংলা: ইনজেকশন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলা কতটা কঠিন ছিল?
সাইফউদ্দিন: আসলে আমার একটি স্বপ্ন ছিল যে দেশের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছি। এবং এই স্বপ্নটাই জেদ চাপিয়ে দিয়েছিল যে খেলতেই হবে। কোচ, ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে আমি খেলতে চাই। যেহেতু আমি ফর্মে ছিলাম টিম ম্যানেজমেন্টও চাচ্ছিল আমি খেলি। যার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া।
সারাবাংলা: বিশ্বকাপে আপনার ইনজুরি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কিছু অনাকাঙ্খিত কথা উঠেছিল। এগুলো আপনাকে কতটা কষ্ট দিয়েছে?
সাইফউদ্দিন: আপনারা যারা সংবাদ মাধ্যমে আছেন তারা দেশের হয়ে কাজ করেন, আমরাও দেশের হয়ে খেলি। বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে। তখন তাদের এই কাজটা কতটা যৌক্তিক ছিল এটা আমার জানা নেই। আর এটা দেশের মধ্যে কিংবা প্লেয়ারদের মধ্যে কতটা প্রভাব ফেলেছে তাও আমি জানি না। তবে কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। টিম হোটেলে মাশরাফি ভাইর কক্ষে গিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করি, তো উনি আমাকে ওই সময়ে সান্তনা দিয়েছেন। পরবর্তীতে আমি ম্যাচগুলো খেলতে সক্ষম হই। আর কোনো সমস্যা হয়নি।
সারাবাংলা: আপনাকে বলা হয় মাশরাফি বিন মুর্তজার সুযোগ্য বদলী। অনেকে আপনাকে পুরোদস্তুর পেস বোলিং অলরাউন্ডিং প্যাকেজ হিসেবে দেখে। এটা প্রমাণ করা আপনার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
সাইফউদ্দিন: অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং! ব্যাটে, বলে সমান তালে পারফর্ম করা বা নিজের ফিটনেস ঠিক রাখা খুব সহজ কোনো কাজ নয়। আমরা যারা পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছি তাদের সবাইকেই কঠোর পরিশ্রম করে দলে নিজের জায়গা ধরে রাখতে হয়। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার চেয়ে ধরে রাখাটা কঠিন। মাশরাফি ভাইর কথা যেটা বলছেন ওনার উত্তরসূরী হওয়াটা খুবই কঠিন। আগে ওনার মতো অতগুলো ম্যাচ খেলি তারপরে না হয় ভেবে দেখব। আমি আসলে ওইভাবে চিন্তাই করি না। কারণ মাশরাফি ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তী। ওনার সঙ্গে আমাকে মেলানো ঠিক ও না। তবে চেষ্টা করব দেশের হয়ে যতগুলো ম্যাচ খেলা যায় এটাই আমার লক্ষ্য। সবাই দোয়া করবেন যেন দেশের হয়ে লম্বা সময় খেলতে পারি।
সারাবাংলা: বিশ্বকাপ থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আবারো ইনজুরিতে পড়লেন। কেমন লেগেছিল?
সাইফউদ্দিন: আমি যখন বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি খেলি তখনও পিঠের ব্যথা ছিল। ভেবেছিলাম দেশে ফেরার পর ৭-৮ দিনের যে বিরতি আছে তখন হয়ত কমে যাবে। সেজন্য আমি আগে কিছু বলিনি। এসেই বাসায় গিয়েছিলাম। পরে যখন ঢাকায় ফিরে প্রথম বল করি আবার ব্যথা অনুভব করি। সুজন স্যার (খালেদ মাহমুদ সুজন) ওই সিরিজের জন্য কোচ ছিলেন। স্যারকে ডেকে নিয়ে বললাম কি করা উচিত? যেহেতু কয়েকদিন আগে আমাকে নিয়ে বাজে ভাবে একটি খবর প্রচারিত হয়েছিল। আপনারা যেহেতু আমার গুরুজন আপনারাই বলেন। যে সিদ্ধান্ত দেবেন আশা করি আমার জন্য ভালোই হবে। স্যার বললেন, অবশ্যই ভালো বলেছ। আমরা আশা করছি তুমি আরো ১০ বছর দেশের হয়ে খেলবে। তো ওইভাবে স্যার পরিকল্পনা করেন। নান্নু স্যারের (মিনহাজুল আবেদীন নান্নু) সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলে ওই রাতেই আমাকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন, ‘ভালোভাবে ফিট হয়ে ফিরে আয়। সামনে অনেক খেলা।’ তারপরেই আসলে রিকভারি করে ফিরে আসা।
সারাবাংলা: ইনজুরির কারণে লম্বা একটি সময় আপনি মাঠের বাইরে ছিলেন। পুনর্বাসনের সময় কোন জিনিসটা খুব বেশি প্রয়োজন হয়?
সাইফউদ্দিন: আমার মনে হয় মানসিক সাহায্যটা। কারণ তখন কেবলই মনে হয় সবাই খেলতে পারছে আমি পারছি না। মানে ভীষণ খারাপ লাগে। আমি আবার মাশরাফি ভাইর কথাতে ফিরে আসি…যখনই এমন পরিস্থিতি আসে মাশরাফি ভাইর কথা মনে হয়। আমি টিভি দেখে পত্রিকা পড়ে জেনেছি উনি ইনজুরির সময়টা কীভাবে কাটিয়েছেন। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপও খেলতে পারেননি। তার কথা ভেবে প্রেরণা নিতাম। তারপর যেসব ফুটবলার আছে যেমন ধরুন নেইমার ইনজুরি প্রবণ প্লেয়ার। উনিও ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকবার মাঠের বাইরে থেকেছেন। যখন ভাবতাম ওরাও ইনজুরির পরে মাঠে ফিরেছে, তখন নিজেকে পুশ করতাম। ভাবতাম এটা খেলারই অংশ এবং সবকিছু জয় করে আমাকেও মাঠে ফিরতে হবে। এছাড়া আমাদের নতুন ফিজিও ক্যালেফাতো অনেক সাহায্য করেছে। সবসময় আমার পাশে ছিল। সব মিলিয়ে সময়টায় খুব বেশি কষ্ট হয়নি।
সারাবাংলা: আপনি একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। জাতীয় দলে আপনাকে কখনো সাতে কখনো বা আটে ব্যাটিং করতে হয়। আপনার কি মনে হয় এখানে ভালো ব্যাটিং করতে ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন একটি দলে খেলা উচিৎ যেখানে ছয়ে ব্যাটিং করতে পারবেন। কেননা এখানে ছয়ে ব্যাটিং করলে যে দক্ষতা আপনি অর্জন করবেন সেটা জাতীয় দলে আপনার ইনিংস বড় করতে ভূমিকা রাখবে?
সাইফউদ্দিন: জাতীয় দল ও আবাহনী দুটোই প্রায় কাছাকাছি একথা বলাই যায়। জাতীয় দলে আমাদের যারা টপ অর্ডরে ব্যাটিং করে তারা আবহনীতেও করে। যখন আবাহনী দল করে তখন আমি সুজন স্যারকে বলেছিলাম, স্যার আর যাই করেন ছয়, সাতের নিচে আমাকে ব্যাটিংয়ে নামিয়েন না। কারণ আমি যদি এখানে সুযোগ না পাই জাতীয় দলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব না। স্যার বললেন, ‘সমস্যা নেই, ওখানেই পাবি।’ তো আমি তখন নিজেকে ওভাবে প্রস্তুত করি। প্রিমিয়ার লিগে তিন, চারে খেলে লাভ কি আমার? আমি না হয় এখানে ৬০ বলে ৪০, ৫০ রান বেশি করব। কিন্তু আমার লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় দল এবং ওখানে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা। এখানে আমাকে ব্যাটিং করতে হবে সাতে না হয় আটে। যখন মিরাজ (মেহেদি হাসান মিরাজ) খেলবে তখন আমাকে আটে ব্যাটিং করতে হবে। যখন মিরাজ খেলবে না তখন সাতে নামতে হবে। তাই আমি আসলে ওইভাবে প্রস্তুত হতে চাই। প্রিমিয়ার লিগে আমি যদি ১০-১৫ বল পাই চেষ্টা করব ২০, ২৫ বা ৩০ রান করতে। আমি যদি এখান থেকে প্রস্তুতিটা নেই তাহলে জাতীয় দলে কাজটা খুব বেশি কঠিন হবে না।
সারাবাংলা: টি-টোয়ন্টিতে বাংলাদেশের যে ব্যাটিং লাইন আপ এতে করে সাত নম্বরে ভালো কাউকে না পেলে আপনাকেই ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই ব্যাপারটা আপনার ভাবনায় আছে?
সাইফউদ্দিন: আমি যখনই জাতীয় দলে এসেছি তখনই বলেছি দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে আমি প্রস্তুত। আমি কখনোই বলব না আমাকে তিন, চার বা সাত, আটে খেলান। এটা দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। কিন্তু আমি চেষ্টা করি ব্যাটিংয়ে আরেকটু ভালো সুযোগ পেতে। প্রতিটি প্লেয়ারই চায় ওপরে ব্যাটিং করতে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই।
সারাবাংলা: দীর্ঘদিন পর বল করতে এসে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া কতটা কঠিন? আপনি পাচ্ছেন কিনা?
সাইফউদ্দিন: আত্মবিশ্বাস আপনাকে পেতেই হবে। কারণ এখানে যে পরিস্থিতি, আমি যদি ভালো করি তাহলে সুযোগ পাব না হলে পাব না। কেননা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী অনেকেই আছে। আমি যদি একটা ম্যাচে বেশি রান দিয়ে দেই তাহলে এরপরে একটা বা দুইটা সুযোগ পাব এর বেশি না। তবে আমি এটা নিয়ে নেতিবাচক কিছু ভাবতে চাইছি না কারণ ওমনটা ভাবলেই পারফরম্যান্স খারাপ হবে। তাই আমি কখনোই ভাবতে চাই না যে ছয় মাস পরে মাঠে ফিরেছি।
সারাবাংলা: ইয়োর্কারের বাইরে আর কোন কোন ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছেন?
সাইফউদ্দিন: না, আর বেশি কিছু নিয়ে কাজ করতে চাই না। যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট। এগুলো যদি আরো ভালো করতে পারি তাহলে ভালো কাজে দিবে।
সারাবাংলা: করোনার সময়টা কীভাবে পার করছেন?
সাইফউদ্দিন: বাসাতেই থাকি। বাইরে বের হতে পারি না। কি আর করা? পরিবারকে সময় দিচ্ছি, নিজের ফিটনেস ঠিক রাখার চেষ্টা করছি। কারণ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মাঠে নামতে হবে।
সারাবাংলা: আপনাকে ধন্যবাদ।
সাইফউদ্দিন: আপনাকেও।
আরো পড়ুন:
মিডল অর্ডারেই স্বাচ্ছন্দ্য মিঠুনের
নিজের জায়গা ধরে রাখতে আত্মবিশ্বাসী সাদমান
বাতাসে বল ঘুরাতেই নাঈমের যত আনন্দ
করোনা থামিয়ে দিয়েছে সৌম্য’র বিশ্বকাপ ভাবনা
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই আমাদের টার্নিং পয়েন্ট ছিল: আকবর
বিশ্বকাপে আমাদের এক-দুইটা ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল: জেসি
‘এমনভাবে ফিরতে চাই যেন আর বের হতে না হয়’
নেইমারের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পান সাইফউদ্দিন
অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন নেইমার জুনিয়র পেস বোলিং অল রাউন্ডার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন