বিজ্ঞাপন

অলিগলিতে জবাই হচ্ছে কোরবানির পশু

August 22, 2018 | 1:15 pm

।। মেসবাহ শিমুল,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে প্রথম ঈদ জামাত শুরু হয় সকাল ৭টায়।  নামাজ শেষ হতে না হতেই সকাল সাড়ে ৭টার আগেই রাজধানীতে শুরু হয়ে যায় পশু কোরবানি। সেই থেকেই রাজধানীর অলিতে-গলিতে অসংখ্য গরু-ছাগল কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি।

একসঙ্গে এত পশু কোরবানি করতে গিয়ে মানা হচ্ছে না সিটি করপোরেশনের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনাও।  এতে করে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, হাজিপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মৌচাক, শান্তিনগর, পল্টন, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার অধিকাংশ পশু কোরবানি শেষ হয়ে গেছে দুপুর ১২টা বাজার আগেই। কোথাও কোথাও সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে গরুর মাংস বানানোর কাজও শেষ হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, কোরাবানির পশুর মাংস বানাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ছে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা মৌসুমী কসাইদের। তারা নগদ টাকার বিনিময়ে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে মাংস বানানোর কাজটি করছেন। কেউ কেউ টাকার সঙ্গে পাচ্ছেন মাংসও।

এছাড়া বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ছুরি হাতে পাড়া-মহল্লায় গরু কোরবানি দিতে বিচরণ করতে দেখা গেছে।  মালিবাগ মোড়ে কথা হয় জামেয়া মালিবাগ মাদরাসার ছাত্র ইয়াকুব হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, মাদরাসার ওপরের জামাতের শিক্ষার্থীদের ছুটি নেই। তারা শহরে পশু জবাইয়ের কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে সেগুনবাগিচা এলাকায় তোপখানা রোডে দেখা যায়, বেশকিছু জায়গায় সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানের গরু-ছাগল জবাই হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই নির্ধারিত স্থানের বাইরে অলি-গলিতে বা নিজেদের বাসার সামনেই কোরবানির পশু জবাই করছেন।

মৎস্যভবন রোডে শিল্পকলা একাডেমির সামনে দেখা যায়, পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত সেখানে কোনো পশু কোরবানি হয়নি। আবার সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী আছেন প্রায় ১০ জনের মতো  তারা অলস সময় কাটাচ্ছেন।  অথচ নির্ধারিত স্থানে কোরবানি না করে ঠিক পাশেই কোরবানি করতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সেখানে দায়িত্বরত সিটি করপোরেশনের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানান, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান থাকলেও এখানে কেউ আসছে না। সবাই অলিগলিত কোরবানি করছেন। এটা ঠিক নয়।

রাজধানীর পল্টন টাওয়ারের সামনে অন্তত ১৫টি গরু কোরবানি হয়েছে সকাল থেকে।  অথচ এ স্থানটি সিটি করপোরেশন অনুমোদিত নয়।  এখানে কথা জায়েদ আহমেদ নামের এক ফ্ল্যাট মালিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, তারা কয়েকজন মিলে কোরবানি করছেন। তাই বাসার সামনে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া কোরবানির পর স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার ঈদুল আজহায় রাজধানীতে প্রায় ৫ লাখ পশু জবাই হবে। এর মধ্যে ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে ২ লাখ ৯৪ হাজার পশু কোরবানি হবে বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন। আর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এ সংখ্যা হতে পারে ২ লাখ ২০ হাজার।

উল্লেখ্য, যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই বন্ধ করতে দুই সিটি করপোরেশন ১ হাজার ১৬৩টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে এ বছর। এর মধ্যে উত্তরে ৫৪৩টি ও দক্ষিণে ৬২০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পশু জবাইয়ের জন্য।

সারাবাংলা/এমএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন