বিজ্ঞাপন

কেমিক্যালের উৎস সরাতে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার: আইজিপি

February 21, 2019 | 9:17 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল বা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্যের উৎস সরাতে সিটি করপোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, এ ধরনের আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যালের সব ধরনের উৎস সরিয়ে ফেলা উচিত। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু কেমিক্যালের এসব উৎস অপসারণে সিটি করপোরেশনসহ আরও বিভিন্ন সংস্থা রয়েছে। সবাইকে নিয়ে সমন্বিত একটি উদ্যোগ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এই আগুনের ঘটনা ছিল ভয়াবহ। এখানকার রাস্তা সরু, কাছেপিঠে পানির উৎস নেই। তারওপর এই ভবনে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থের গুদাম ছিল। এর আগেও এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরনের জায়গায় আগুন লাগলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।

পুরান ঢাকার এমন এলাকায় কেমিক্যাল কারখানা বা গোডাউন সরানোর বিষয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশের একার পক্ষে এটি সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশন রয়েছে, অন্যান্য সংস্থা রয়েছে। তাদের সবাই মিলে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে এ ধরনের উৎস অপসারণ করা সম্ভব নয়।

এসময় সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান আইজিপি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে সবাইকে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে ছুড়িহাট্টা জামে মসজিদের পাশে ওয়াহেদ ম্যানসন নামে একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লাগে। এর পাশের আরও একটি চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আরও তিনটি ভবনে ছড়ায় আগুন।

ওয়াহেদ ম্যানসনের পেছনেই রয়েছে বড় কাটারা কমিউনিটি সেন্টার। সেই কমিউনিটি সেন্টার এবং এর পূর্ব পাশের প্লাস্টিক কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) এ কে এম শাকিল নেওয়াজ। এরপর আবারও বাড়তে শুরু করে আগুন। নতুন করে তিনটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪টার দিকে ফায়ারকর্মীদের সহায়তা দিতে যোগ দেয় বিমান বাহিনীর সদস্যরা। আগুনের ভয়াবহতা কমে আসার পর শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। ওয়াহেদ ম্যানসনের প্রতিটি তলা থেকে বের করা হচ্ছে পুড়ে যাওয়া মরদেহ।

এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা। আরও অর্ধশতাধিক দগ্ধ ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন