বিজ্ঞাপন

কোটা নিয়ে অ্যাটর্নির মতামত প্রস্তুত, আজই পাঠিয়ে দেবেন

August 20, 2018 | 12:11 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে সরকারের জানতে চাওয়া মতামত প্রস্তুত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আজই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মতামতটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

সোমবার (২০ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আমার মতামত প্রস্তুত হয়েছে। আজই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

মতামতে কি বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা বলা যাবে না। আমি শুধু রায়ের বিষয়ে মতামত দেবো। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।’

বিজ্ঞাপন

সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিকভাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরবর্তীতে আরো ৯০ কার্যদিবস সময় পায় এ কমিটি।

এর মধ্যে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে ১৩ আগস্ট নিজ থেকেই কোটা নিয়ে কথা বলেন সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কমিটি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের কমিটির মোটামুটি সুপারিশ হলো- কোটা অলমোস্ট উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে আদালতের একটা ভারডিক্ট আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা প্রতিপালন করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে এবং যদি খালি থাকে খালি রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত এটাকেও ওকে করে দেয় তাহলে কোটা থাকবে না।

আর যদি আদালত বলেন, ভারডিক্ট দেন যে, না ওই অংশটুকু সংরক্ষিত রাখতে হবে তাহলে ওই অংশটুকু বাদ দিয়ে বাকি সব উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক সুপারিশ।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধা-সরকারি, প্রতিরক্ষা ও জাতীয়করণ হওয়া প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করেছে সরকার। বর্তমানে প্রজাতন্ত্রের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলাগুলোর জন্য কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত।

বিজ্ঞাপন

গত ১১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের আদেশ অগ্রাহ্য করার কোনো সুযোগ নেই। অগ্রাহ্য করা হলে তা আদালত অবমাননার শামিল হবে।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন