বিজ্ঞাপন

চকবাজারে আগুনে দগ্ধ ১৮, নিয়ন্ত্রণে ৩৩ ইউনিট

February 21, 2019 | 12:49 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর চকবাজার থানার শাহী মসজিদের পাশের আবাসিক ভবনে লাগা আগুনে ১৮ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথমে একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লাগে। এর পাশের আরও একটি চারতলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দগ্ধ অবস্থায় ১৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং ২ জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৩টি ইউনিট একযোগে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান। এছাড়া আশেপাশের ভবনগুলো খালি করে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

চকবাজারে আগুনে দগ্ধ

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্দীকুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে আব্দুল মান্নান (৬০) এবং হেলাল উদ্দীন (১৮) নামে দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতরা জানিয়েছেন, একটি পুরনো ভবন ধসে তারা চাপা পড়েন। সেখানেই তারা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। একটি চারতলা ও একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন জ্বলছে। এগুলোর নিচে খাবার হোটেল এবং ত্রিশটির বেশি প্লাস্টিক ও কেমিক্যালের দোকান রয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আগুনে দগ্ধ এবং ভবন থেকে নামার সময় আহত অর্ধশত ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে রেজাউল (২১) ও জাকির হোসেনের (৫০) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বাকিরা হলেন, সেলিম (৪৫), আনোয়ার (৫০), মোস্তাফিজ (৪০), জাহিদুল (২৮), ইভান (৩০), মাহমুদ (৫৭), রামিম (১২), সালাউদ্দিন (৫০), মোজাফ্ফর হোসেন (৩২), সোহাগ (২৬) সোহান (৩৫), ফজর আলী (২৫), হেলাল (২৫) ও সুজন (৪০)। এদের সবাইকে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আহত অবস্থায় অন্তত ৪০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, আল-আমিন (৩৫), কাউছার (৩০), জাহাঙ্গীর (২৩), ছালাম (৩০), রবিউল (৪০), সালাউদ্দিন (৩৪), আনিছুর রহমান (৫০), তানজিল (১৪), রমজানসহ (১২) আরও অনেকে।

রাত দেড়টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক, সহকারী অধ্যাপক ডা. হোসাইন ইমাম সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যারা, তাদের মধ্যে চারজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ভয় কাজ করে ৭২ ঘণ্টা পরে। যখন ক্ষতটা শুকাতে শুরু করে তখন আসলে বোঝা যাবে রোগীর কী অবস্থা। আমরা রোগীদের ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখছি। এখানে তাদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। কোনো ত্রুটি হচ্ছে না। দগ্ধদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী রামিম নামে এক শিশুকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।

ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: বড় হচ্ছে চকবাজারের আগুন, সরু গলি নিয়ন্ত্রণে বড় বাধা

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/এসএইচ/এটি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন