বিজ্ঞাপন

জলবায়ুর পরিবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

June 30, 2018 | 7:04 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার ৮০ কোটি মানুষকে মাঝারি থেকে তীব্র উষ্ণ অঞ্চলে (হট স্পট) বসবাস করতে হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই অঞ্চলের ছয়টি দেশের নাগরিকরা থাকবেন বেশি ঝুঁকির মধ্যে। আর ওই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়াস হটস্পটস’ শিরোনামে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হারের ভিত্তিতে ‘জলবায়ু সংবেদনশীলতা’ ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে কার্বনের পরিমাণ বাড়ছে।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবনযাত্রার মানের যেসব পরিবর্তন ঘটতে পারে তা একীভূত করে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে সেসব সমস্যা তৈরি হতে পারে, তারও ধারণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ‘হট স্পট’গুলোতে মাথাপিছু জিডিপি কমে যাবে ৬.৭ শতাংশ, যার আর্থিক পরিমাণ ৫৯ বিলিয়ন ডলার (প্রায় চার লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা)।

অন্যদিকে, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ বাস্তবায়িত না হলে ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধির হার হবে প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি এখনকার তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ কমে যাবে, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়াবে ১৭১ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা ১৪ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

‘সাউথ এশিয়াস হটস্পটস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ এখুনি কমিয়ে আনা না গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশকে। আর সামষ্টিকভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষের সংখ্যা কমে হবে সাড়ে ৩৭ কোটি।

বিজ্ঞাপন

এতে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার ৮০ কোটি লোককে মাঝারি থেকে তীব্র উষ্ণ অঞ্চলের (হটস্পট) মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতের চার ভাগের তিন ভাগ অঞ্চলের মানুষকে উষ্ণায়নের এই ভয়াবহতা মোকাবিলা করতে হবে।

গড় তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় এবং বৃষ্টিপাতের বর্ষা ঋতুর আচরণ বদলে যাওয়ায় বাংলাদেশের নিচু ও উপকূলীয় এলাকা এবং মালদ্বীপ আরও বেশি বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো বলছে, আগামীতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও শক্তিশালী হয়ে আবির্ভূত হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ মুথুকুমারা মানি বলেছেন, ‘উষ্ণায়নের হার বেড়ে যাওয়ার এ সমস্যাটি কার্বন নিঃসরণের সঙ্গে সম্পর্কিত। অনেক ক্ষেত্রে পানিহীন উষর অবস্থার সঙ্গে জলবায়ুগত হট স্পটকে একীভূত করে দেখা হয়।’

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের মহাসচিব আসছেন মধ্যরাতে

সারাবাংলা/এএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন