বিজ্ঞাপন

ডিইউজে‘র সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী বিএফইউজে‘র নির্বাচনের দাবি

July 8, 2018 | 1:47 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: “সদ্যবিদায়ী কমিটির মহাসচিবের অবহেলা অথবা ইচ্ছাকৃত অবহেলার কারণে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বরের মধ্যে বিএফইউজে‘র নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও বিদায়ী কমিটি অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখায় যথাসময়ে নির্বাচন করা যায়নি। সেই একই স্বার্থে তারা বিএফইউজে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা করছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমরা ডিইউজে‘র সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী বিএফইউজে‘র নির্বাচন চাই।”

রোববার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে জলিল-কাজল-মধু পরিষদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের মহাসচিব প্রার্থী জাকারিয়া কাজল এসব কথা বলেন। এ সময় পরিষদে সভাপতি আবদুল জলিল ভুঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী মধুসূধন মণ্ডল, যুগ্ম মহাসচির প্রার্থী নাসিমা সোমা এবং সদস্য শেখ মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন জাকারিয়া কাজল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাকারিয়া কাজল বলেন, ‘৬ জুলাই শুক্রবার বিএফইউজে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারিত ছিল। প্রার্থী হিসাবে আমরা আমাদের সকল প্রচারণা-প্রস্তুতি শেষ করে যখন চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, তখন নির্বাচন কমিশন আমাদের জানায় শ্রম আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে তারা নির্বাচন করতে অক্ষম।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগের দিন ৫ জুলাই নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীদের সভা ডাকেন। সভায় উপস্থিত হয়ে আমরা জানতে পারি দুইজন প্রার্থীর এক মামলায় প্রথম শ্রম আদালত নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রার্থীদের কাছে করণীয় জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বি সভাপতি, সহ-সভাপতি, মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষরা নির্বাচন অনুষ্ঠানে লিখিতভাবে সম্মতি দেন। এ পর্যায়ে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে শ্রম অধিদফতর নির্বাচন কমিশনকে স্থগিত করে দেওয়া ডিইউজে ভোটারদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশন ডিইউজের কাছে পূর্ণ ভোটার তালিকা চেয়ে চিঠি দেয় এবং ডিইউজে তালিকা নির্বাচন কমিশনকে প্রদান করেন।’

জাকারিয় কাজল বলেন, ‘বিএফইউজে সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ডিইউজের কিছু সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করে এবং কারো কারো ভোটাধিকার স্থগিত করে। ৫ জুলাইয়ের সভায় স্থগিত করা ভোটারদের ভোটাধিকার প্রদান নিয়ে বিদায়ী মহাসিচিব আপত্তি করেন। ডিইউজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের ভোটর তালিকা অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। এ পর্যায়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনগত বিষয়ে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে আমাদের সদস্যদের ভোটাধিকার ও সার্বিক স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে আমাদের প্যানেল আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে জাকারিয়া কাজল বলেন, ‘ট্রেড ইউনিয়ন মুনাফার করা জায়গা না। ফলে এখানে বিনিযোগের কোনো সুযোগ নেই। যারা এখানে বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করছেন। ভবিষ্যতে এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে মুনাফা করতে চাইছেন। বিদায়ী কমিটির মহাসচিব (ওমর ফারুক) প্রতিটি ক্ষেত্রে ট্রেড ইউনিয়নের নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়েছেন। উদাহরণ হলো, ট্রেড ইউনিয়নের নীতি মোতাবেক যেকোনো একটি রেজিস্ট্রার ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচনে শ্রম অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি রাখতে হয়, এটা আইন। বিদায়ী কমিটি তা পাত্তা না দিয়ে নিজেরা নিজেরা একটা কমিটি গঠন করেছেন। এতদিন কমিটিতে থাকার পরেও মনে হচ্ছে, ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া নেতৃত্বের সব কিছুই বোঝেন।’

আবদুল জলিল ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা ডিইউজের সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট চাই। নির্বাচন কমিশনও এটা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু মহাসচিব ওমর ফারুকের আপত্তির কারণে নির্বাচন কমিশন বেঁকে বসেন। তখন কমিশন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় যেহেতু নির্বাচন স্থগিত হয়েছে, তাই নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। আপনারা জানেন কে বিগত দিনে কল্যাণ ফান্ডের টাকা খরচ করে ফেলেছেন, পত্রিকায় রেড কার্ড দেয়ার নামে বাণিজ্য করছেন। এটা কে করেছেন, তাও সাংবাদিকরা জানেন। আমি নাম বলতে চাই না।’

সারাবাংলা/জিএস/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন