বিজ্ঞাপন

ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন শুরু শনিবার

May 4, 2018 | 8:20 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী ৪৫তম সম্মেলন আগামীকাল শনিবার (৫ মে) শুরু হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট এবং মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও প্রগতির বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে।

ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য— ‘টেকসই শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নে ইসলামিক মূল্যবোধ’। এরই মধ্যে ওআইসির সদস্যভুক্ত ৫৭টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছেন।

ঢাকায় আসার পর ওআইসির এই প্রতিনিধিরা আজ শুক্রবার (৪ মে) সকালে কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা সরেজমিন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে এই সংকট সমাধানে জাতিসংঘকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া এই সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এবং রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল লিওনিদোভিচ বাগানোভও ঢাকায় এসেছেন।

এই দু’জন ওআইসির সম্মেলনে যোগ দিতে এলেও তাদের সফরের মূল উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা সংকট কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কাজ করা। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক কানাডার প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বব রায় এবং ওআইসি বিষয়ক কানাডার বিশেষ দূত মাসুদ হুসেইনও থাকবেন।

এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, এই সম্মেলনে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানসহ সাড়ে ৫’শ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীও রয়েছেন এই তালিকায়। সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছর সিএমএফ (কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টাস)-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই সম্মেলনে যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাবে সেগুলো হলো— মুসলিম বিশ্বের সংঘাত ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক বিষয়, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যে ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে সেগুলোর সমাধান, বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়া ইসলামোফোবিয়া কাটাতে সভ্যতা ও সংস্কৃতির আন্তঃসংলাপ, মুসলিম উম্মাহর আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা।’

আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও আলকুদস-এর জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি ও অধিকারের বিষয়টি আলোচনায় বরাবারের মতোই গুরুত্ব পাবে। রোহিঙ্গা সংকট ঢাকা সিএমএফে বিশেষভাবে স্থান পাবে এবং এ বিষয়টি সম্মেলনের একটি বিশেষ অধিবেশনে আলোচনা করা হবে।’

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন