বিজ্ঞাপন

তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনার পর কোটা সংস্কার কমিটির প্রতিবেদন

July 8, 2018 | 1:17 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে সংস্কার কমিটি। সচিবালয়ে রোববার (৮ জুলাই) কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সকাল ১১টায় শুরু হওয়া ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে কর্মকৌশল নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘কোটা সংক্রান্ত যে কমিটি করা হয়েছে সেটির প্রথম বৈঠক আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোটা সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি যত তথ্য রয়েছে, পত্রিকার প্রতিবেদন, পিএসসির প্রতিবেদনসহ যাবতীয় প্রতিবেদন সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।  এগুলো হাতে পাওয়ার পর কমিটি পরবর্তী ধাপে করণীয় ঠিক করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। যা করার আমরা ১৫ দিনের মধ্যেই করব।’

ওই প্রতিবেদনগুলো আসলে কাদের প্রতিবেদন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পত্রিকার প্রতিবেদন রয়েছে, পিএসসির প্রতিবেদন রয়েছে এবং বিভিন্ন সময় সাবেক যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছিল তাদের প্রতিবেদনও রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা যতদ্রুত পারি সংগ্রহ করব। এগুলো নিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে চেষ্টা করছি এগুলো সংগ্রহ করার। পরবর্তী মিটিং এগুলো সংগ্রহের ওপর নির্ভর করছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন। আবার অনেকেই প্রকৃত বিষয় না জেনে আন্দোলন করছেন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এ বিষয়ে একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য, সেজন্য শক্তিশালী কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত যে বিষয় রয়েছে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা/বাতিল অথবা সংস্কারের লক্ষ্যে সাত সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে সরকার। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেবে এ কমিটি।

রোববার (২ জুলাই) রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নির্দেশক্রমে জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়। এছাড়া জনপ্রশাসন বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সচিব মনজুরুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশনের সচিব আক্তারি জাহান, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে নিয়ে এ কমিটি গঠন হয়।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় অগ্রাধিকার কোটায়। বাকি ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধা কোটায়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতেও আছে বিভিন্ন ধরনের কোটা।

সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত ৮ এপ্রিল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করলে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মারলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরদিন এ আন্দোলন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

গত ১১ এপ্রিল সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর গত মে মাসে কোটার বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় গত সপ্তাহে আবারও কর্মসূচি দেন কোটা আন্দোলনকারীরা। তাদের প্রতিহত করতে হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ।

সারাবাংলা/এইচএ/জেএএম/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন