বিজ্ঞাপন

বঙ্গোপসাগরে প্রথমবার যৌথ টহলে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত

June 27, 2018 | 5:10 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনীর যৌথ টহল। চোরাচালান, মানবপাচার, জলদস্যুতা, সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার ও অবৈধভাবে মাছ আহরণ রোধের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে এই টহল।

দুই দেশের সমুদ্রসীমায় জাহাজ ও মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে দুই দেশের এই টহল শুরু হবে বৃহস্পতিবার (২৮ জুন)। বাংলাদেশের জলসীমা থেকে শুরু হওয়া টহল ভারতের বিশাখাপত্তমে গিয়ে শেষ হবে ৩ জুলাই।

বিজ্ঞাপন

কো-অর্ডিনেটেড প্যাট্রল (করপেট) নামে এই কার্যক্রম যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনী প্রধান যথাক্রমে অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ ও সুনীল লানবা। বুধবার (২৭ জুন) চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটিতে দুই দেশের নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই টহলের উদ্বোধন হয়।

যৌথ টহল দুই দেশের জলসীমায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিশাল সমুদ্র এলাকায় এককভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। একমাত্র পারস্পরিক সহযোগিতা ও নজরদারিই পারে সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে।’

অনুষ্ঠানে ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী সময় পার করছে। বিশাল সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবাদ দমন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একসাথে কাজ করে যেতে আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, যৌথ টহলে বাংলাদেশ ও ভারতের নৌবাহিনীর দু’টি করে যুদ্ধজাহাজ ও একটি করে মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফট অংশ নেবে।

বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজগুলো হচ্ছে— বানৌজা আবু বকর ও বানৌজা ধলেশ্বরী। আর ভারতের যুদ্ধজাহাজগুলো হচ্ছে— আইএনএস খেদমত ও আইএনএস সাতপুরা।

প্রথমবারের মতো শুরু হলেও যৌথ টহল দুই দেশের সমুদ্রসীমায় অব্যাহত রাখা হবে বলে উভয় দেশের নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি এবং চট্টগ্রামে ভারতের সহকারি হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব শুভাশীষ সিনহা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন