বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের বিচার চাইলেন আসিয়ানের ১৩২ এমপি

August 24, 2018 | 4:13 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

আসিয়ানের পাঁচটি দেশের ১৩২ জন সংসদ সদস্য এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসির) মিয়ানমারে সেনা সদস্যদের বিচার দাবি করেছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা অধিকাংশই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুরের সংসদ সদস্য।

এছাড়া, আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটসের (এপিএইচআর) মেম্বার রয়েছেন ২২ জন।

রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সংঘাতের এক বছর অতিবাহিত উপলক্ষ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য শুক্রবার (২৪ আগস্ট) এই বিচার দাবি করা হয় বলে জানিয়েছ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমার থেকে এখনও রোহিঙ্গা আসছে, প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত

আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ার ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইনে হত্যাযজ্ঞ চালানোর অপরাধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এজন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

এমপিদের পক্ষ থেকে এপিএইচআর সদস্য চার্লস সান্তিয়াগো বলেন, মিয়ানমারে তদন্ত করতে আমরা তাদের জবাবদিহিতা চাই। এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। মিয়ানমারের যারা অপরাধ করেছে তাদের বিচার হতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আর না হয়। মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দলের এই রাজনীতিবিদ আরও জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার সামর্থ্য নেই মিয়ানমারের এবং একই সাথে তারা অনিচ্ছুক।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের নির্বাচিত ১৩১জন সংসদ সদস্যের সাথে আমি একমত হয়ে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করছি। আমরা তাদের একই অপরাধ করতে বারবার সুযোগ দিতে পারিনা।

বিজ্ঞাপন

ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট মেম্বার ও এপিএইচআর সদস্য ইভা কুসমা সুন্দরী বলেন, আসিয়ান দেশগুলোর এখন সময় হয়েছে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করার। যে পদক্ষেপগুলো সত্যিই কাজে আসবে। রোহিঙ্গাদের সুবিচার পাওয়ার অধিকার এখন আর নির্দিষ্ট কোন ভৌগলিক পরিমণ্ডলে সীমাবদ্ধ নেই।

আসিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্রের সহযোগিতামূলক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট। সংস্থাটির সদস্যরা হলো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, কম্বোডিয়াল, লাওস, ব্রুনাই।

হামলার এক বছর : বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক মিয়ানমার

উল্লেখ্য, গত বছর ২৫ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অধিকারের দাবিতে সশস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠী আরসা রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়। হামলায় ডজনখানেক নিরাপত্তারক্ষী সদস্য নিহত হয়। পরিণামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালায়। জীবন বাঁচাতে ও আশ্রয় নিতে হাজার হাজার রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ভিড় জমায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সম্মতি দিলেও মিয়ানমার বরাবরই রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। মিয়ানমার আইসিসির হস্তক্ষেপ ব্যতীত নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তদন্ত করবে বলে জানায়।

বিজ্ঞাপন

জাতিসংঘের মতে, রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৭ লক্ষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন