বিজ্ঞাপন

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে বিক্ষোভ

September 2, 2018 | 1:37 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারে আটক রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিতে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ মানুষ। এ সময় তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দাবি তুলেন।

গত শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) কালো কাপড় পরে আটক সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে ও’র (২৮) ছবি সম্বলিত ব্যানার, পতাকা ও বেলুন নিয়ে মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা ‘খবর জানার অধিকার, জনগণের অধিকার’ বলে স্লোগান দেন। তাদের বহনকৃত ব্যানারে লেখা ছিল, ‘অবিলম্বে কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি দাও, অবিলম্বে মুক্তি দাও’।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনের এক আদালতে আগামী সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওই দুই সাংবাদিকের রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শক ও সংস্থা, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এই দুই সাংবাদিককে বেকসুর খালাস দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিয়ো মিয়ান্ট মওং ফোনে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আপনি কোন পক্ষের তা বিষয় নয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি বলতে পারেন যে, আমাদের তা আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আরো উন্নয়ন ঘটাতে হবে আমাদের।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে সরকারের মুখপাত্র জাও তাই বলেছিলেন, মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন। এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাটি প্রচলিত আইন অনুযায়ীই চলবে। আদালতের দোষী প্রমাণিত হলে তাদের ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে মিয়ানমারের ইন-দীন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন রয়টার্সের এই দুই সাংবাদিক। মামলার শুনানিতে তারা বলেন, ইয়াঙ্গুনের একটি রেস্টুরেন্টে গত ১২ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেখা করতে গেলে দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের গ্রেফতার করে চোখ বেঁধে সাদা পোশাকের পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়।

এদিকে গ্রেফতার হওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা মোয়ে ইয়ান নাইন এই বছরের এপ্রিলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অধীনস্থদের এই দুই সাংবাদিককে ফাঁদে ফেলতে গোপন নথি দেওয়ার নির্দেশ দেন। যদিও এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে মিয়ানমার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন