বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার নির্দেশ ‘ধৈর্য ধরতে হবে, অ্যালার্ট থাকতে হবে’

August 5, 2018 | 5:23 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: দেশবাসী, ছাত্র-ছাত্রী ও আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি পরিষ্কারভাবে অল্প কথায় বলেছেন, ‘ধৈর্য ধরতে হবে, অ্যালার্ট থাকতে হবে।’ আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুটি শব্দ ব্যবহার করেছেন—জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মিউ করে বের হয়েছে বিএনপির থলের বেড়াল: কাদের

রোববার (৫ আগস্ট ) বিকেলে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক দলীয় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে কিছুক্ষণ আগে আমি আমাদের নেত্রী পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তার নির্দেশনা চেয়েছি। আমরা দেশবাসীর কাছে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আমাদের নেতা-কর্মীদের কাছে কী নির্দেশনা থাকবে। তিনি পরিষ্কারভাবে অল্প কথায় বলেছেন, ‘ধৈর্য্য ধরতে হবে, অ্যালার্ট থাকতে হবে।’—এই দুটি শব্দ তিনি ব্যবহার করেছেন।

বিজ্ঞাপন

আমিও আমাদের নেতা-কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার জন্য এবং পরবর্তী সময়ে যেকোনো প্রকার কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, সেজন্য সবাইকে সর্তকভাবে অপেক্ষা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

আমরা আক্রমণকারী হিসেবে চিহ্নিত হতে চাই না। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা কেন অশান্তি চাইবো, আমরা দেশে শান্তি চাই।

যদি কোনো প্রকার প্রতিকূল পরিস্থিতি আসে সেই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। এই বিএনপি জামায়াত আজকে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে কোনো ষড়যন্ত্র কোনো চক্রান্ত সফলে হবে না।

বিজ্ঞাপন

আমরা ধৈর্যের সহনশাীলতার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করে যাবো। আমাদের নির্দেশনার বাইরে কেউ যেন কোনো প্রকার তাদের প্রভোকেশনের (উসকানি) মধ্যে না পড়ে সে ব্যাপারেও সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান কাদের।

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আওয়ামী লীগ আক্রমণকারী তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো। প্রমাণ ছাড়া বিএনপির মতো মিথ্যাচার, যারা দিনকে রাত করে রাতকে দিন করে, তাদের মিথ্যাচারের ভাষা ও অপপ্রচারটা সত্য বলে বলে মেনে নেওয়া হয়, তাহলে এটা সত্যি। তথ্য প্রমাণ দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলেন আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে মুকুল বোষ, মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, আব্দুস সবুর, ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিপ্লব বড়ুয়া, মারুফা আক্তার পপিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন