বিজ্ঞাপন

কাদেরকে সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের

March 3, 2019 | 8:46 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে সিঙ্গাপুর নেওয়া যাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। চিকিৎসকরা বৈঠক করছেন। তাদের বৈঠক শেষ হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার উপযোগী না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এই দলটিকে নিয়ে আসা হয়েছে দেশে। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তারা বিএসএমএমইউয়ে পৌঁছান।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন সিঙ্গাপুরের এই চিকিৎসকরা। ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা অনুমোদন করলে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন সাপেক্ষে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করেই সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে তাকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার কখনও একটু উন্নতি হয়েছে, কখনও অবনতি হয়েছে। শারীরিক অবস্থা টানা স্থিতিশীল না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার কথা ভাবা হলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যোগাযোগ করে সিঙ্গাপুর থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যার কারণে বিএসএমএমইউয়ে ভর্তি করা হয় ওবায়দুল কাদেরকে। সেখানে প্রাথমিক ওষুধপত্র দেওয়ার পর তার এনজিওগ্রাম করা হয়। তাতে তার হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক চিহ্নিত হয়। এর মধ্যে বাম পাশের প্রধান রক্তনালীর ব্লকটি স্টেন্ট (রিং) পরানোর মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বাকি দুইটি ব্লক অপসারণের জন্য কোনো প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সর্বশেষ ওই ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউ কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলী আহসান বলেন, তিনি চোখ খুলছেন, কথা বলছেন, কিন্তু ক্রিটিক্যাল অবস্থাতে আছেন। তিনি পা নাড়ছেন, চেষ্টা করছেন কথা বলার। এ অবস্থা যদি আরও কিছু সময় থাকে, তাহলে মেডিকেল থেরাপি বা বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

আর বিএসএমএমইউ উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনো জটিলতা তৈরি হলে সেটা সামাল দেওয়ার মতো যে প্রযুক্তি, জনবল ও বিশেষায়িত দক্ষতা প্রয়োজন, তা থাকলে তবেই ওবায়দুল কাদেরকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশের বাইরে পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হবে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন