বিজ্ঞাপন

হামলার এক বছর : বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক মিয়ানমার

August 24, 2018 | 3:37 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তবে গত বছর সশস্ত্র রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠী আরসা রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালালে রোহিঙ্গা সংকট চরম মাত্রায় পৌঁছায়। মংডু, বুদাং, রাদেডংসহ বিভিন্ন শহরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসার চালানো সেসব হামলায় ডজনখানেক নিরাপত্তারক্ষী সদস্য নিহত হয়।

প্রতিশোধ নিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে নির্বিচারে রোহিঙ্গা যুবকদের হত্যা করে। সেনাবাহিনীর এই তান্ডব থেকে রক্ষা পায়নি রোহিঙ্গা নারী কিংবা শিশুরাও। জীবন বাঁচাতে ও আশ্রয় নিতে রোহিঙ্গারা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ভিড় জমায়।

শনিবার (২৫ আগস্ট) আরসার হামলা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানবিক বিপর্যয়ের এক বছর অতিবাহিত হবে। তাই ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আরসা যাতে আবারও হামলা চালাতে না পারে, সেজন্য দেশটিতে নেওয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমন্ত জুড়ে মোট ১৬০টি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের জন্য।

বিজ্ঞাপন

রাখাইন রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তা কর্নেল অং মাত মও স্থানীয় পত্রিকা ইরাবতিকে বলেন, সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী বেশে আরসা হামলা চালানোর চেষ্টা করবে এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অন্তত ১ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আরসার সন্ত্রাসীরা সীমান্তের আশেপাশে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও খাবার জড়ো করছে। তারা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এছাড়া, অস্ত্র মাদকসহ শরণার্থীদের অনেককে বাংলাদেশ সরকার প্রেফতার করছে। তারা আরসার সাথে জড়িত।

একইসাথে, চলছে গতবছর হামলা চালানো শহরগুলোতে পুলিশি টহল। সেসব এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহ হলেই যেকারো ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আগস্ট মাস জুড়েই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলো জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, জুলাই মাসে মাসে র‌্যাব কক্সবাজরের একটি গোপন অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালায়। কারখানাটিতে আরসার সম্পৃক্ততা সন্দেহ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় সাত লক্ষ রোহিঙ্গা পাশ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশের আশ্রয় মিলেছে কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

সারাবাংলা/এনএইচ

আরও পড়ুন,
মিয়ানমারের বিচার চাইলেন আসিয়ানের ১৩২ এমপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন