June 27, 2018 | 12:01 pm
।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ককে গুরুত্ব দেই। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।’
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার জেনারেল এডব্লিউজেসি ডি সিলভা মঙ্গলবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, এ অঞ্চলের দারিদ্র্য বিমোচনে প্রতিবেশী দেশগুলোর সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টায় গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সার্বিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সব দেশের একযোগে কাজ করা উচিত।
তার সরকারের সময়ে দেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুকে বড় সমস্যা আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি। মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তারা তা করছে না।’
প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থেই বাংলাদেশে শ্রীলংকার বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে আরো শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য দেশব্যাপী একশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। এখানকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে শ্রীলংকার উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন।’
বাংলাদেশ ৯০টিরও বেশি দেশে ওষুধ জাতীয় পণ্য রফতানি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শ্রীলংকাতেও আলু ও পাট রফতানি করছি। এ সময় বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রীলংকা, নেপাল ও ভুটানের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার কতাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আরো বেশিসংখ্যক শ্রীলংকার শিক্ষার্থীদের আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোতে অধ্যয়নের জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমৎকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন শ্রীলংকার হাইকমিশনার এডব্লিউজেসি ডি সিলভা। শ্রীলংকার শিক্ষার্থীদের কাছে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলো পছন্দের গন্তব্য বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রীলংকার অনেক নাগরিক বর্তমানে কর্মরত বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের সাথে কৃষি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথাও জানান নবনিযুক্ত শ্রীলংকার হাইকমিশনার। জবাবে এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিবেশী এ দু’টি দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, এ বিষয়ে এরই মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের শুরুতেই শ্রীলংকার হাইকমিশনার দেশটির রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা শ্রীসেনার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
সারাবাংলা/টিআর