June 27, 2018 | 4:34 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ ও বান্দরবনের লামায় আরেক আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সাজা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাহাড়ি নারীদের তিন সংগঠন। এ বিষয়ে পার্বত্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষ পদক্ষেপ অনুরোধও জানিয়েছে তারা।
বুধবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে বক্তারা আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানান। হিল উইমেন্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক এই মানববন্ধন আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তাদের দাবি পাঁচটি হলো— খাগড়াছড়িতে আদিবাসী কিশোরী গণধর্ষণ ও লামায় আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে; ঘটনার শিকার দুই আদিবাসী পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তা দিতে হবে; আদিবাসী নারীসহ সব নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনে পার্বত্য অঞ্চলের নারীদের সব ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে এবং অবিলম্বে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা পাহাড়ে নারীর প্রতি সহিংসতার সাম্প্রতিক দুই ঘটনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পার্কে বেড়ানোর সময় আট তরুণ মিলে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে। অন্যদিকে, গত রবিবার (১৭ জুন) বান্দরবনের লামায় নিজ বাড়ি থেকে এক মারমা সম্প্রদায়ের তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।
পাহাড়ে নারীর ওপর সহিংসতার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন কারণে নারীর ওপর সহিংসতার মাত্রা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় সেটেলার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে অনেক নারী যৌন নিপীড়ন ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। কেবল ২০১৭ সালেই আদিবাসী নারীর ওপর সহিংসতার ঘটনা ছিল ৪৬টি, যার শিকার হয়েছেন ৫৬ জন আদিবাসী নারী ও শিশু।
মানববন্ধনে বলা হয়, এসব সহিংস ঘটনা রোধ করতে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে হবে।
সারাবাংলা/এএস/টিআর