বিজ্ঞাপন

‘গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অনিয়ম’ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

June 28, 2018 | 12:56 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে ভোটে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ এ তিনি এমন উদ্বেগ জানান।

তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত হচ্ছে ভোটারদের নিরাপদে ভোট দেওয়া। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে এবং পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে অনিয়ম করেছে তা আমাদের চোখে পড়েছে। শুধুমাত্র ভোট দিলেই সুষ্ঠু ভোট হয় না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট অনুষ্ঠান একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এই নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, বিরোধী পোলিং এজেন্টকে গ্রেফতার, কোনো ক্ষেত্রে বের করে দেওয়া, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাজে আচরণসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, নির্বাচনগুলোতে সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যা ইতিবাচক।

আগামী জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, তার ইঙ্গিত দেয় সদ্য সমাপ্ত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, এমন মন্তব্য করে মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশ সরকার সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। প্রত্যাশা করছি, সরকার সেই অঙ্গীকার রাখবে।

নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মুক্ত গণমাধ্যমের এবং বিরোধী দলের রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র তখনই উন্নত হয় যখন সকল জায়গায় জনগনের অংশগ্রহন থাকে। বিরোধী দলের অনেক নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। শুধু নির্বাচনের আগে নয় বেশ কয়েক বছর ধরেই এমন হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে মার্শা বার্নিকাট বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। এই সমস্যার শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে। সমস্যার ধরণ নিয়েও আমাদের গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তবে রোহিঙ্গা সংকট কঠিন হলেও এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

পোশাক শিল্প নিয়ে মার্শা বার্নিকাট বলেন, পোশাক খাতের কর্ম পরিবেশ নিয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সামনে আরো অগ্রগতি হবে বলে আশা করি। বিভিন্ন গণমাধ্যম এই ইস্যূতে বছরজুড়েই নেতিবাচক খবর পরিবেশন করে আসছে। সবসময়ে নেতিবাচক খবর পরিবেশন করাটা ঠিক নয়।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, নিরাপত্তা সহযোগিতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনসহ একাধিক ইস্যূতে উন্নতি করা বিশ্বের জন্য অনুসরণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।

বিজ্ঞাপন

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, মাদক সকল আইন বিরোধী কাজের উৎস। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে এর মূল হোতাকে ধরতে হবে। তা না হলে মাদক বিরোধী অভিযান সফল হবে না।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন