বিজ্ঞাপন

নয় বছরে ২৬ বার আন্দোলন, জুটেছে কেবলই আশ্বাস

June 29, 2018 | 2:51 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গত ৯ বছরে ২৬ বার আন্দোলনে নেমেছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে প্রতিবারই সরকারের পক্ষ থেকে কেবল আশ্বাসই জুটেছে। আমরা যেই রাস্তার শিক্ষক, সেই রাস্তাতেই রয়ে গেছি। তবে এবার আর খালি হাতে ফিরতে চাই না। দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরতে চাই।

শুক্রবার (২৯ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষকরা এমন প্রত্যয়ের কথাই জানালেন।

তাদের ভাষ্য, গেল ডিসেম্বরে দুর্বার আন্দোলন গড়ার পর সরকার এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়ে আমাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি নীতিমালার মাধ্যমে আমাদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। নতুন এ নীতিমালায় খুব বেশি হলে ২০০ প্রতিষ্ঠান এমপিওর সুযোগ পেতে পারে। বাদ পড়বে ৫ হাজারের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন নীতিমালা আমরা মানি না।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কথা হয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষণ রায়ের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিলেও জাতীয় সংসদে অর্থ বাজেটে তার প্রতিফলন নেই। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে আন্দোলন করে যাব।

সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, গত ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা হচ্ছে না। আমরা আবারো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে আমরা কেবল দু’মুঠো ভাতের জন্য আন্দোলন করছি। বিগত ৯ বছরে আমরা ২৬ বার রাজপথে নেমেছি। প্রতিবারই আমাদের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আর প্রতারিত হতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আমরণ অনশনের ষষ্ঠ দিনেও (শুক্রবার) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষকরা অনশনে যোগ দিয়েছেন। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মাদরাসা শিক্ষক মোখলেসুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভোরে ঢাকা এসেছি। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। বাড়িতেও ভালো ঘুম হয় না, নানা টেনশন আর আর্থিক টানাপড়েনে। জানিনা এ অবস্থা থেকে কবে বের হতে পারব।

টানা অনশনে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৯২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার সকালেও কয়েকজন অসুস্থ হন। এদের মধ্যে ৬২ জনকে অনশন স্থলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া ১১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এমএস/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন