বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের শক্তি বাংলাদেশের গণমানুষ

June 30, 2018 | 1:19 pm

।। সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের গণমানুষ। আমার শক্তি হচ্ছে আমার সংগঠন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এটাই ছিল বড় শক্তি। যে কারণে যেকোন সাহসী পদক্ষেপ নিতে কখনো পিছপা হই না, বলে  মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তৃণমূলের সামনে অতীত স্মৃতি রোমন্থনে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

শনিবার (৩০ জুন) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বেলা এগাটার ৪০মিনিটে সভা শুরু হয়। সভা সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার আগে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। এ ছাড়া সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই ৬২ সাল থেকে স্কুলের মিছিলে যোগ দিয়েছি। আমি কলেজের ভিপিও ছিলাম। ছাত্রলীগের একজন কর্মীও ছিলাম। কিন্তু এত বড় একটা দল চালাব। এটা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। তবে ১৯৮০ সালে যখন লন্ডনে যাই সেখানে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করবার জন্য। তখন ভয়াবহ অবস্থা। সেখানে নামা যায় না। যারা যুদ্ধাপরাধী, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করতো না, সেখানে তারা অবস্থান করতো। এমনকি নামতে গেলেই ছুরি নিয়ে হামলা করতো। সেই সময় আমি সিদ্ধান্ত নেই। আমি আওয়ামী লীগের কিছুই ছিলাম না। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও মহিলা লীগকে সংগঠিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: তৃণমূলের সাথে বর্ধিত সভায় বসেছেন শেখ হাসিনা

এরপর ১৯৮১ সালে ফিরে এসে দলের হাল ধরার স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ৩০ জুলাই যেদিন বাংলার মাটি থেকে গিয়েছিলাম। সেদিন তো সবই ছিল। আমার আব্বা-মা। কামাল-জামাল-রাসেল, কামাল-জামালের নবপরিণীতা বধূ। আমার চাচা। সবাই ছিল। কিন্তু যেদিন ফিরে এলাম। নিঃস্ব-রিক্ত একা। কেউ নেই। কোন চেনা মুখ নেই। আমি সেদিন নেমে কি দেখলাম? বনানীতে সারি সারি কবর। এটা সহ্য করা অত্যন্ত কষ্টকর ছিল। দূরে থেকে শুনেছি একরকম আর চোখের সামনে এই রকম। সারি সারি কবর দেখেছি। ৩২নম্বরে যাবো। সকলের জন্য দোয়া করতে, জিয়াউর রহমান-৩২নম্বরে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। রাস্তায় বসে পিতা-মাতা ভাইবোনদের জন্য দোয়া করেছি, বসেছি।

এ সময় কন্ঠ ভারী হয়ে যায় শেখ হাসিনার। এরপর ডায়াসে গ্লাসে রাখা পানি খেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব হারিয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে এসেছি। কিন্তু পেয়েছি, আমার পরিবার, বিশাল পরিবার। আমার পরিবার হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সহযোগী সংগঠন। আমি তাদের কাছে থেকে ভালবাসা পেয়েছি। আর পেয়েছি বাংলার জনগণের ভালবাসা।

বিজ্ঞাপন

সরকারের মেয়াদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের সময় মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো থেকে বিভিন্ন তদবির আসার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শক্তি হচ্ছে বাংলাদেশের গণমানুষ। আমার শক্তি হচ্ছে আমার সংগঠন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এটাই ছিল বড় শক্তি। যে কারণে যেকোনো সাহসী পদক্ষেপ নিতে আমি কখনো পিছপা হই না। কারণ জাতির পিতা শিখিয়েছিলেন, কারও কাছে মাথা নত না করা।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কোনো বাধা মানে নাই। তারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করেছে বলেই আবার আমরা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। আজকে ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই তো আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে।

সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান, মহানগরের অধীন সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ এবং জেলা পরিষদের নির্বাচিত দলীয় সদস্যগণ উপস্থিত রয়েছেন।

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন