বিজ্ঞাপন

সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় এখনই আইন করার দাবি

June 30, 2018 | 7:23 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় এখনই আইন প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছেন এই খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (৩০ জুন) দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তারা এ দাবি জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) যৌথ উদ্যোগে কর্মশালাটি শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মো. রাইসুল আলম মন্ডল এবং ইইউ’র ঢাকা প্রতিনিধিদলের প্রধান মারিও রনকোনি।

সমুদ্র সম্পদ সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কলাবরেশন দলের প্রতিনিধি এবং যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়েরা ফেইলার কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট নীতি ও আইনের অভাবে আমাদের সমুদ্র সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। একটা সময়ে যে পরিমাণ মাছ সমুদ্র থেকে পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যায় না। প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্র সম্পদের ক্ষতি করছে। ইলিশ মাছসহ বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে এই প্লাস্টিক বর্জ্য।’

বাংলাদেশ-ইইউ যৌথ কলাবরেশন দলের প্রতিনিধি এবং যুক্তরাজ্যের পোর্টস্মাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়েরা ফেইলার বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অক্সিজেন কমে যাওয়া। অক্সিজেন কমে যাওয়ায় বঙ্গপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এই সম্পদ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সামুদ্রিক সম্পদ থেকে মাছ আহরণ, মাছ ব্যবস্থাপনা, লবন ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনার সমুদ্র সম্পদ। এই সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। এই সম্পদ কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার জন্য নীতি নির্ধারণ করতেই এই কর্মশালার আয়োজন। এই কর্মশালা থেকে উঠে আসা সুপারিশ আমরা সরকারকে জানাবো এবং তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠাবো।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: জলবায়ুর পরিবর্তন: দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতির মুখে বাংলাদেশ

সারাবাংলা/জেআইএল/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন