বিজ্ঞাপন

কী দারুণ ভাগ্য তাদের

November 27, 2017 | 4:32 pm

সারাবাংলা প্রতিবেদক

বিজ্ঞাপন

পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকালে হাইকোর্টে সোমবার সকাল সকাল এসে হাজির হয়েছিলেন বিডিআরের নায়েক সুবেদার মো. আলীর স্ত্রী (নাম জানা যায়নি)। নিম্ন আদালতে তার স্বামী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। হাইকোর্টের রায়ে কী আদেশ আসে সেটার জন্য অপেক্ষা। এক সময় শুনতে পারেন তার স্বামীকে ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

স্বামী তার পিলখানা হত্যা মামলার আসামি। এ কারণে সমাজের লোকদের কাছ থেকে নিন্দা-কটুকথাও শুনতে হয়েছে তাদের। এবার বুঝি তার অবসান ঘটল।

রায় শুনে আদালত ভবনের দেয়াল ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলীর স্ত্রী। বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অল্প কথায় তিনি বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করেছি। খেয়ে না খেয়ে কষ্ট করে মামলা চালিয়েছি। আজ ন্যায়বিচার পেয়েছি, রায়ে খুশি।

চোখের পানি মুছতে মুছতে এ নারী বলেন, কারো জীবনে এরকম ঘটনা যেন আর না আসে।

এ আনন্দের খবর বাড়িতে জানিয়েছেন কি না জানতে চাইলে হাসিমুখে তিনি বলেন, না এখনো জানায়নি, জানাব। এই বলে তিনি দ্রুত কোর্ট এলাকা থেকে বের হয়ে আসেন।

বিজ্ঞাপন

পিলখানার ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড থেকে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ফাঁসির আদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে আটজনকে। খালাস পেয়েছেন চারজন।

মুত্যুদণ্ডের দীর্ঘ তালিকা থেকে খালাসের তালিকায় আসা সত্যি যেন ভাগ্যের ব্যাপার। খালাস পাওয়া চারজন হলেন- হাবিলদার মো. খায়রুল আলম, নায়েক সুবেদার মো. আলী, হাবিলদার বিল্লাল হোসেন খান ও সুবেদার মো. মেজবাহ উদ্দিন।

দুদিনব্যাপী দীর্ঘ রায় পাঠ শেষে সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ এ ঘোষণা দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।

রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। আর এ মামলায় সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন ৪৫ জন।

বিজ্ঞাপন

এজেডকে/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন