বিজ্ঞাপন

আয়েশার ‘কান্না’, প্রযুক্তির ‘জয়গান’

December 23, 2017 | 6:57 pm

জাহিদ হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

দেশের জাতীয় পর্যায়ে একটি বড় আক্ষেপের নাম ছিল ইলেক্ট্রনিক টাইমার। সেটি পূরণ হয়েছে এবারই। তবে, একটা ছোট্ট দুর্বলতা আছে যন্ত্রের। স্প্রিন্টে শুধু একজনের রেকর্ড বাতলে দিতে সক্ষম এ প্রযুক্তি। তাহলে মিট শেষ করা পরের দু’জনের টাইমিং কিভাবে বের করা হবে তা নিয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ থেকে যায়। আর যদি টাইমিং অনুযায়ী ঠিক একই সেকেন্ড দু’জন বা ততোধিক অ্যাথলেট মিট শেষ করেন তাহলে দ্রুত এর সমাধান কি? একটু শঙ্কা থেকেই যায় বৈকি।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইলেক্ট্রনিক টাইমারে এক সঙ্গে সবার টাইমিং হিসবে করা হয়। কিন্তু দেশের এ যন্ত্রের পক্ষে একটির বেশি টাইমিং রেকর্ড করবার সুযোগ নেই। তাই রেফারির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

এবারের আসরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে মেয়েদের ২০০ মিটার মিট শেষ হয়। রেফারির নথিভুক্ত টাইমিং বলছে ২৫.৫৬ সেকন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন শিরিন আক্তার। ২৬.১৯ সেকেন্ড নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন সুষ্মিতা ঘোষ ও বর্ষা খাতুন। একই সময় নিয়ে দু’জনের দুই স্থান খানিকটা সংশয় তৈরি করেছে। সংশয়ের কারণ, দু’জন একই সময় নিয়ে দৌড় শেষ করলে যৌথ দ্বিতীয় করে চতুর্থ স্থানে থাকা বাংলাদেশ জেলের অ্যাথলেট আয়েশাকে তৃতীয় করার ‘কথা’।

বিজ্ঞাপন

সেই ক্ষোভ ঝড়লো আয়েশার কণ্ঠেও, ‘একই সময় নিয়ে দু’জন দ্বিতীয় হলে আমি তৃতীয় হওয়ার কথা।’ এদিকে সুষ্মিতা আর বর্ষা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। তাহলে কি সমঝোতায় দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্থান নির্ধারিত হলো?

ব্যাখ্যা দিলেন জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার অফিসিয়াল রেফারি কেতাব আলী, ‘সুষ্মিতা আর বর্ষা একই সময়ে মিট শেষ করলেও টাইমিংয়ের হিসেবটা হয় ফটো রেফারির মাধ্যমে। ফটো রেফারির ল্যাপটপে গ্র্যাফের মাধ্যমে পুনরায় সঠিক টাইমিংটা ন্যানো ও মাইক্রো সেকেন্ডে নির্ধারিত হয়। দু’জন একই সময়ে মিট শেষ করা অসম্ভব। কারণ, দেখা যায় কারো বুক আগে গ্র্যাফকৃত রেখা স্পর্শ করেছে। তার ভিত্তিতেই টাইমিং হিসেব করা হয়েছে। সেই হিসেবে সুষ্মিতাকে দ্বিতীয় ও বর্ষাকে তৃতীয় করা হয়েছে।’

‘স্প্রিন্টে যৌথ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।’ যোগ করলেন কেতাব আলী।

বিজ্ঞাপন

প্রথমবারের মতো জাতীয় অ্যাথলেটিকসে টাইমিং প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও এর দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার সময় আছে। যুগ প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে। সেই পথে পা রাখতে হবে বাংলাদেশকেও। আজ না হয় কাল। বেলজিয়াম থেকে ৫ বছরের কোর্স করে আসা বাংলাদেশের ফটো রেফারিকেও হতে হবে আরও চৌকস।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন