বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি: সংস্কৃতিমন্ত্রী

July 4, 2018 | 7:55 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চা তেমনভাবে হয় না বললেই চলে। এর অন্যতম প্রধান কারণ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নেই বা সেগুলো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও এর হলে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ থাকা জরুরি একটি বিষয়। এটি ছাড়া সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নেই।’

বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (কারাস) মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিকে সামনে রেখে প্রকাশিত ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক কর্মকাণ্ড’: সেকাল-একাল’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সার্বিক পরামর্শে সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সম্পাদনায় এ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। কারাস থেকে প্রকাশিত এটি প্রথম গ্রন্থ। গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে সাজানো। এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ টাকা। বইটি কারাস এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার বিপনন শাখায় পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময়ে সংস্কৃতি চর্চা শুধু নিছক বিনোদন ছিল না, এটি ছিল আন্দোলন-সংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার। তখন যে মানের সংস্কৃতি চর্চা হত, এখন তা দেখা যায় না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা শুরু করেছি। ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভবিষ্যত এটি আরো সম্প্রসারণ করা হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা ফেরাতে হলে আমাদের আমাদের প্রথম কাজটা হবে আবাসিক হলগুলো এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ফিরিয়ে আনা। তাহলে তারাই পাঠ্যাতিরিক্ত যে কর্মসূচি সেটাকে নতুন করে প্রাণ দিতে পারবে। এরপর দ্বিতীয় কাজটি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ছাত্র সংগঠনগুলোকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। নইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাস ও সংঘাতের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। যদি আমরা এর থেকে মুক্ত হতে না পারি তাহলে শুধু অতীত গৌরবের গান করে সামনে এগুনো যাবে না।’

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ণয় করে তার গবেষণা। বর্তমানে বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ২১৩২। আগে এখানে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো, মানের সঙ্গে কোনো আপোস করা হতো না। ফলে আগে এই বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষার মান অনেক ভালো ছিলো। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আছে।’

বিজ্ঞাপন

অ্যালামনাইয়ের এই সভাপতি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন হল ভিত্তিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে চেয়েছিলাম। কয়েকটি হলে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কারাস এর পরিচালক ও গ্রন্থটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকসহ বিভিন্ন গুণীজন উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন