বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ: টিআইবি

July 9, 2018 | 9:12 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে জাতিসংঘের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এই ইস্যুতে মিয়ানমার সরকার এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প সংস্থা ইউএনডিপি ও শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মধ্যে সই হওয়া গোপন সমঝোতা স্মারকের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (৯ জুলাই) সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, সমঝোতা স্মারক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির পূর্বশর্ত হিসেবে নিজ দেশে স্বাধীনভাবে চলাচল ও ‘মিয়ানামারের স্বাধীন নাগরিক’ হিসেবে তাদের অধিকার লাভের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এ ধরনের চুক্তি প্রকৃত অর্থে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে পদদলিত করে তাদের চিরতরে বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়।”

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে এই গোপন সমঝোতার পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ না করায় প্রত্যাবাসনসহ সার্বিকভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে সেনাবাহিনীর নির্যাতন বিষয়ে জাতিসংঘের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এটি মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং লি’র সাম্প্রতিক বক্তব্যেও প্রতিফলিত হয়েছে।

ড. জামান আরো বলেন, “এই গোপন সমঝোতা স্মারক এবং তা প্রকাশে লুকোছাপা ও গড়িমসি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক ও পরস্পরবিরোধী। তিনি রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমারের আদি নিবাসী’ উল্লেখ করে অনুকূল পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে তাদের যথাযোগ্য মর্যাদায় ফিরিয়ে নেওয়ার এবং সংঘটিত অপরাধের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ ধরনের স্ববিরোধী ও নীতিবিবর্জিত গোপন সমঝোতা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের ব্যর্থতাকেই তুলে ধরে এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের আন্তরিকতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।”

ড. জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের মতো জাতিগত নিধনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতিসংঘ পর্যাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেনি। নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ থেকে বরং বাস্তবে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে পুঁজি করে অর্থ সহায়তার সুবিধা অন্বেষণ জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কিনা— সে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। জাতিসংঘের উচিত এসব প্রশ্নের উত্তরসহ মিয়ানমারের সাথে সম্পাদিত সমঝোতা স্মাবকের পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও এর আগে গোপন করা বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রকাশ করা।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন