বিজ্ঞাপন

প্রশস্ত হচ্ছে মাইজদী-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক

July 10, 2018 | 12:50 pm

।। জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রশস্ত হচ্ছে মাইজদী-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। ফলে টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক অবকাঠামো এবং সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য ‘মাইজদী-রাজগঞ্জ-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ২৫২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলা’কে জানান, এরই মধ্যেই প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মাইজদী-রাজগঞ্জ-ছায়ানী-বসুরহাট-চন্দ্রগঞ্জ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক। সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার ও বিদ্যমান প্রস্থ ৩ দশমিক ৭০ মিটার। বর্তমান প্রস্তাবিত প্রকল্পের মাধ্যমে ৭ দশমিক ৩০ মিটার প্রশস্ততায় উন্নীত করা হবে। আঞ্চলিক মহাসড়কটি ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের মাইজদী বাজার হতে শুরু হয়ে রাজগঞ্জ ও ছায়ানী বাজার অতিক্রম করে কুমিল্লা-লাইমই-চাঁদপুর-লক্ষীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে মিলিত হয়েছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক সংযোগকারী এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর অঞ্চলের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যান চলাচল করে। কিন্তু সড়কটির প্রস্থ কম হওয়ায় যানজট লেগে থাকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়কটির যানজট হ্রাসসহ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এ প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে মোট ২৬০ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি হতে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম গুলো হচ্ছে, ১৩ দশমিক ৪৯ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ২০ দশমিক ১০১ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ, ২০ দশমিক ১০১ কিলোমিটার সার্ফেসিং, ৯৯ মিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ২ হাজার ৬০৩ মিটার ব্রীক ম্যাশনারী টো-ওয়াল, ৯০০ মিটার ব্রীক রিটেইনিং ওয়াল, ৪ হাজার ৭৯০ মিটার আরসিসি প্লেট প্যালাসাইডিং, ৩ হাজার মিটার ব্রীক ম্যাশনারী ইউ-ড্রেন, ৫০০ মিটার আরসিসি ইউ ড্রেন, ৩ হাজার মিটার সসার ড্রেন এবং ৫ হাজার ২২৬ দশমিক ২৬ বর্গমিটার রোড মার্কিং করা হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার মধ্যে উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে এবং জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

সারাবাংলা/জেজে/জেএএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন