বিজ্ঞাপন

অথচ রানার্স আপ ট্রফিই পেল না ভারত!

December 24, 2017 | 6:34 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

মাঠে বাজছে ‘বাংলাদেশ, চলো বাংলাদেশ’ গান, গ্যালারি মুখর ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগানে। কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম যেন আজ এক টুকরো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কিশোরীরা ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে, এমন দিনে প্রেসবক্সও হয়ে গ্যালারির অংশ।

কিন্তু এত উৎসব, এত উচ্ছ্বাসের আড়ালেও যেন লেগে আছে কালো দাগ। চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে ট্রফি দেওয়া হলেও রানার্স আপ ভারতকে কোনো ট্রফিই দেওয়া হলো না- স্বাগতিক হিসেবে এ তো বাংলাদেশের জন্য লজ্জারই।

মাঠে খেলেছে কিশোরীরা, অবদান আছে টিম ম্যানেজমেন্টের-অথচ ম্যাচ শেষে কৃতিত্ব নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লেন অনেকে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন পুরস্কার বিতরণীর প্রধান অতিথি হিসেবে, মাঠে তাই নানান লোকের ভিড়। বাংলাদেশের রীতি অনুযায়ী শিরোপা জিতলেই যেমন পুরস্কার ঘোষণার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই, আজও ব্যতিক্রম হলো না তার। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় মঞ্চেই ছয় হাজার ডলার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেন (বাংলাদেশি টাকায় পাঁচ লাখের কাছাকাছি)। সেই পুরস্কার কবে দলের হাতে উঠবে, সেটি অবশ্য একটা প্রশ্ন হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

মঞ্চে প্রথম ম্যাচ অফিসিয়ালদের দেওয়ার পর রানার্স আপ ভারতের খেলোয়াড়দের মেডেল পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাংলাদেশের কিশোরীরাও গলায় পদক পরেন। কিন্তু রীতি অনুযায়ী এরপর রানার্স আপ দলের অধিনায়কের কাছে ট্রফি দেওয়ার কথা। মঞ্চের এক কোণায় ট্রফিও রাখা হলো। কিন্তু সেসবের আগেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে তড়িঘড়ি করে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি। এর মধ্যে শুরু হয়ে যায় শিরোপা উদযাপন। আর ভারত এক পাশ থেকে দর্শক হয়ে দেখেছে এই উল্লাস। আর তাদের ট্রফিটা অন্যদিকে পড়ে ছিল অনাদরে, অবহেলায়।

পরে সেটি নিশ্চয় তুলে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এভাবে তো তাদের দর্শক হয়ে থাকার কথা ছিল না। কিন্তু দেশটা যখন বাংলাদেশ, আর সংগঠন বাফুফে, তখন বোধ হয় সবকিছুই সম্ভব।

সারাবাংলা/এএম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন