বিজ্ঞাপন

রেলওয়েতে গতি এসেছে: রেলমন্ত্রী

July 10, 2018 | 7:36 pm

 ।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, বিএনপির আমলের মৃতপ্রায় রেলপথে আজ গতি এসেছে। চরমভাবে অবহেলিত রেলপথ বর্তমান সরকারের আমলে শুধু গতিই নয়, উন্নয়নের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

মঙ্গলবার ১০ জুলাই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সংসদ সদস্য’র সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলের উন্নয়নে যে ব্যাপক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হলে অবশ্যই বাংলাদেশের রেলওয়ে বিশ্বের উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। দেশের সকল জেলাকেই রেলওয়ের নেটওয়ার্কের আওতায় আনার পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সংগৃহিত যাত্রীবাহী কোচসমূহ আরামদায়ক করার লক্ষ্যে আর্টিফিসিয়াল লেদার দিয়ে নির্মিত সিট সংযোজন করা হয়েছে। এরইমধ্যে এডিবির অর্থায়নে ১০০টি এমজি ও ৫০টি বিজি যাত্রাবাহী কোচ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্প এবং ভারতীয় অর্থায়নে ১২০টি বিজি যাত্রাবাহী কোচ সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ মোট ১৩টি এমজি এসি কেবিন, ২১টি বিজি এসি কেবিন, ২৪টি এমজি এসি চেয়ার, ২১টি বিজি এসি চেয়ার, ৬টি এমজি প্রথম শ্রেণীর নন এসি কোচ এবং ৪টি বিজি প্রথম শ্রেণীর নন-এসি কোচ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শে মোতাবেক যাত্রীবাহী কোচসমূহের ডিজাইন উন্নতকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।’

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথসমূহ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে করিডোরকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, রেলওয়ের গৃহীত মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন অনুমোদিত রেলওয়ে মহাপকিল্পনায় ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ৩০ বছর মেয়াদী ছয়টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত আছে।

বিজ্ঞাপন

১৭টি পণ্যে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলক: সরকার দলীয় সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রণয়নের মাধ্যমে দেশে ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুস-খুদ-কুঁড়া এই ১৭টি পণ্যের মোড়কীকরণে পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।

তিনি আরো জানান, পাটকল শ্রমিকদের দীর্ঘ দিনের বকেয়া পরিশোধ করে পাটকল উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্ট করেছে। ফলে মিলগুলোতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। পাটখাতকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে সরকার জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ প্রণয়ন করেছে। বিধি অনুযায়ী পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন