বিজ্ঞাপন

সমুদ্রপথে অপরাধ বন্ধে কাজ করবে হাকজাম 

July 11, 2018 | 1:57 pm

।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : সমুদ্র পথে সন্ত্রাসবাদ, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, মানব পাচার প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস আহরণসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বন্ধে কাজ করবে বিশ্বের ১৮টি দেশের কোস্টগার্ড বাহিনী।

বুধবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ১৪ তম হেড অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সিস মিটিং (হাকজাম) থেকে এই তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। দেশে এবারই প্রথম এই বৈঠকের আয়োজন করল বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্লু ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনেই  সমুদ্রপথে অপরাধ বন্ধে কাজ করবে।

বিজ্ঞাপন

হাকজামের সদস্য দেশগুলো হলো, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়শিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ও ভিয়েতনাম।

স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সমুদ্র নিরাপত্তার পাশাপাশি মাদক, চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যাপকভাবে কাজ করছে। মানব পাচার প্রতিরোধেও প্রশংসনীয় ভুমিকায় রয়েছে। সমুদ্র পথে ১৮ দেশ একসাথে কাজ করতে পারলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা আর বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি মেরিটাইম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি নিজস্ব সমুদ্র সীমা দাবি করে একটি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট ১৯৭৪ প্রণয়ন করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ব্লু ইকোনমি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’

বিজ্ঞাপন

হাকজামের এই বৈঠক মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সমুদ্র ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, অবৈধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কোস্ট গার্ড বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধ, উপকূলীয় বিভিন্ন আইনের পাশাপাশি পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন, সমঝোতা বৃদ্ধি, তথ্য আদান প্রদান সমন্বিত প্রচেষ্টা বৃদ্ধি ছাড়াও নিজ দায়িত্ব পালনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন কোস্টগার্ড প্রধান।

সারাবাংলা/ইউজে/এসএমএন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন