বিজ্ঞাপন

বছরে ১১ হাজর শ্রমিক মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়েন

December 24, 2017 | 8:26 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে প্রতি বছর ১১ হাজার শ্রমিক মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হন। এবং প্রায় ২৪ হাজর ৫০০ শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নানারোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

রাজধানীর মহাখালীর কাদিরিয়া টাওয়ারে আজ রোববার অনুষ্ঠিত ‘শোভন কাজ, উপযুক্ত কাজের পরিবেশের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্যসূত্র উল্লেখ করে বক্তরা এ তথ্য জানান।

বৈঠকে বক্তারা আরও জানান, আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ শ্রম বাজারে আসে আর ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাড়াবে ৭ কোটি ৬০ লাখে। কিন্তু দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এটা চাকুরির বাজারে প্রবেশে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিশাল শ্রম শক্তিকে নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় তাদের মতামতের স্বাধীনতা, ন্যায্য মজুরি, কাজের উপযুক্ত পরিবেশ, চাকুরির নিরাপত্তা ইত্যাদি  দিকে  মনোযোগ দেওয়া উচিত।

বিজ্ঞাপন

ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে এ সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মকসূচির আনুষ্ঠানিক খাত বিষয়ক প্রধান আহমেদ তানভির আনাম।  ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি আয়োজিত এ বৈঠকে প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-’র প্রধান টেকনিক্যাল উপদেষ্টা স্নেহাল সোনেজি।

সোনেজি বলেন, ‘শোভন কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার, নিয়োগকারী ও শ্রমিক এই তিনটি পক্ষকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। কারণ, এখানে যেকোনো একটি পক্ষ দ্বিমত প্রকাশ করলে এ কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৮৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। এরমধ্যে ৫০-৬০ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত। এ ছাড়া অনানুষ্ঠানিক কাজে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। তাই কাজের উপযুক্ত পরিবেশের ক্ষেত্রে কৃষি ও নারী শ্রমজীবীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। ‘

বিজ্ঞাপন

জাতীয় বাংলাদেশ সরকারের স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) এর কারিগরী-বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক (টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং-টিভিইটি) বিশেষজ্ঞ ড. কবির মিয়া বলেন, ‘চাকুরি প্রত্যাশী তরুণদের শুধু প্রশিক্ষণ নয়, পাশাপাশি চাকুরির সুযোগ সৃষ্টিতে আমাদের আরও বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির অনানুষ্ঠানিক খাত বিষয়ক প্রধান ফারজানা কাশফি বলেন, ‘শোভন কর্মপরিবেশের ক্ষেত্রে আমাদের অনানুষ্ঠানিক খাতকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এর সামগ্রিক উন্নয়ন আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।’

সারাবাংলা/জেএ/আইজেকে

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন