বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়া সমগ্র নারী জাতির জন্য কলঙ্ক : শেখ হাসিনা

July 11, 2018 | 5:07 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে বন্দীর বিষয়টি তুলে ধরে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এটা তো সমগ্র নারী জাতির জন্য একটা কলঙ্ক। একজন নারী মানে একজন মা। একজন মা হয়ে এতিমের টাকা কিভাবে চুরি করলো বা সেটার অপব্যবহার করলো। এটা তো আমাদের নারীর জাতির জন্য লজ্জাকর’।

বুধবার (১১ জুলাই) জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নূরজাহান বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। দুপুর তিনটার পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশে যখন একটা সুন্দর সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে তখন খুব স্বাভাবিকভাবে সর্বস্তরের মানুষই তাদের কর্মক্ষেত্রে স্ব স্ব জায়গায় পারদর্শিতা দেখাতে পারে এবং কাজ করতে পারে। তার ফলে দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত হয়।

বিজ্ঞাপন

টানা মেয়াদে সরকারের ধারাবাহিকতার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচনের জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। সরকারের আসার পর ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত যে কাজগুলো করেছিলাম। এরপর ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই বাংলাদেশ এতো উন্নতি করেছে এবং আমাদের নারীরা সমাজের সর্বক্ষেত্রে সুযোগ পেয়েছে। তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে পেরেছে।’

‘এই ধারাবাহিকতা বা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় না থাকত তাহলে নারীরা নির্যাতনের শিকার হতো’ দাবি করে তার কারণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে আমরা দেখেছি, কিভাবে আমাদের দেশের মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল? ঠিক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের মেয়েদের উপর পাশবিক নির্যাতন-অত্যাচার করেছিল, ঠিক একই কায়দায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় মেয়েদের উপর পাশবিক অত্যাচার হয়েছিল।

২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে সারাদেশে নারীদের উপর সংঘটিত ঘটনাগুলোর উদাহরণ দিয়ে সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। একজন নারী হওয়া সত্ত্বেও এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করা, এটা তো কখনো চিন্তা করা যায় না। সামান্য কয়টা টাকা এতিমরা পাবে? সেই টাকা নিয়ে দশ বছর মামলা চালিয়ে দুর্নীতির দায়ে এবং এতিমের টাকা আত্মসাৎতের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে বন্দী আছে। সেটাও তো কোর্টের রায়। আমরা তো রাজনৈতিকভাবে অ্যারেস্ট করিনি। তাহলে তো ২০১৫ সালে করতে পারতাম। ২০১৪ সালে করতে পারতাম, তা তো করিনি।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সেই দশ বছর মামলা চালালো। বিএনপির এতো জাঁদরেল জাঁদরেল আইনজীবী, ব্যারিসটার সাহেবরা কেউ প্রমাণ করতে পারলো যে তিনি (খালেদা জিয়া) নির্দোষ। উল্টো তারা তদের দলের গঠনন্ত্রের ৭ ধারা সংশোধন করলো, ঠিক রায় বেরোনোর পূর্বে। তারা ৭ ধারা কেন সংশোধন করলো? তার মানে তারাও জানে তিনি অপরাধী এবং সেটাই তারা করেছে।

‘এটা তো সমগ্র নারী জাতির জন্য একটা কলঙ্ক। একজন নারী মানে একজন মা। একজন মা হয়ে এতিমের টাকা কিভাবে চুরি করলো বা সেটার অপব্যবহার করলো। এটা তো আমাদের নারীর জাতির জন্য লজ্জাকর।’

আমরা সব সময় চাই, দেশে গণতান্ত্রিক ধারাটা অব্যাহত থাকুক দাবি করে সংসদ নেতা বলেন, দেশটা সুষ্ঠুভাবে যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাক তাতে আমাদের মেয়েরাই লাভবান হবে বলেও আশাবাদ করেন তিনি।

এর কারণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একটা সমাজে নারী-পুরুষ সকলে মিলে যদি তাদের জীবনমান উন্নত না হয়, তাহলে সেই উন্নতিটা হয় না। উন্নত হতে হলেই নারী-পুরুষ সকলেরই উন্নতি করা দরকার। তাহলেই আমাদের সমাজটা উন্নত হবে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন