বিজ্ঞাপন

‘চাকরি লাগবে না, সন্তানের মুক্তি চাই’

July 11, 2018 | 7:58 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ‘আমি একজন মা হয়ে দেশের মায়ের কাছে ছেলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিক। চাকরি লাগবে না, আমি সন্তানের মুক্তি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে ভিক্ষা চাই।’

বুধবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ছেলেকে ফিরে পেতে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করেন রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা রাশেদ বর্তমানে ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

রাশেদের মা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো আমাদের মা, দেশের মা। তাঁর কাছে আমার সন্তানকে ভিক্ষা চাই। আমার চাকরি লাগবে না, আমি সন্তানের মুক্তি চাই, চাকরি চাই না। সে যেন মুক্ত হয়ে পড়ালেখা করতে পারে, তার বাকি পরীক্ষাগুলো যেন দিতে পারে আমি সেটা চাই। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সোনামণির মুক্তি চাই।’

বিজ্ঞাপন

কান্নাভেজা কণ্ঠে সালেহা বেগম বলেন, ‘আমি এখন কি করবো, আমার সোনামণির কোনো দোষ নাই। তবুও আমি তার অপরাধের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি তো চাইলেই আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ডিবি অফিসের সামনে রাশেদের সঙ্গে ভাগ্যক্রমে আমাদের দেখা হয়। রাশেদ আমাদের বলেছে, তাকে যেন না মারে সেজন্য যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে। তার মুক্তির জন্য যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করি। সে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়নি, সে শুধু চাকরির কোটা সংস্কার চেয়েছিল। এখন আমাদের তার (কোটা সংস্কার) আর প্রয়োজন নেই। আমার সোনামণির মুক্তি চাই।’

‘পরের বাড়িতে কাজ করে তারে পড়াশুনা করালাম, এখন তার হাতে হাতকড়া পড়ানো হইছে, আমাদের আর কিছু দরকার নেই। আমি তারে ছাড়া কেমনে চলবো। আমি এখন তারে ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছি’, কাঁদতে কাঁদতে বলেন রাশেদের মা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে রিমান্ডে থাকা মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের স্ত্রী রাবেয়া আলো বলেন, ‘রাশেদকে মুক্তি দিলে সে আর আন্দোলন করবে না। আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার মুক্তি চাই।’ এসময় রাশেদের বোন সোনিয়া আক্তারও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে মিরপুরের ভাসানটেকের একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ আটক করে। পরে তাকে প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় আরও দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন