বিজ্ঞাপন

এস কে সিনহার প্রকাশ্য বিচারের দাবি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর

December 24, 2017 | 10:04 pm

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রকাশ্য বিচার দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, `আগের যিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন, এজলাসে বসে তিনি নিজে এ কথা বলেছেন— তিনি একাত্তরে পিস কমিটির সদস্য ছিলেন । তিনি পিস কমিটির আত্মস্বীকৃত সদস্য। যুদ্ধাপরাধীদের মতো তারও ট্রায়াল হতে হবে। বাংলা মাটিতে প্রকাশ্যে এই ট্রায়াল হতে হবে।’

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর রোববার বিকেলে মিলনায়তরে বাংলাদেশ ইতিহাস ঐতিহ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ‘যুদ্ধ জয়ের বীরগাথা: আলোচনা সভা, স্মুতিচারণ ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যাইনি। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধু নির্দেশে। কিন্তু আত্মস্বীকৃত পিস কমিটির সদস্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে বঙ্গবন্ধুকে হেয় করে কথা বলেছিল। তার এই কথা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় এক্সপাঞ্চ করতে হবে। কারণ প্রধান বিচারপতির পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। এই পদের ব্যক্তি যে কথা বলবেন তা রের্কড হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিপক্ষ বানাতে গিয়ে এখন তারা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। এই জিয়া মুক্তিযোদ্ধের সময় গাদ্দারি করেছে। সেক্টর কমান্ডারদের বৈঠকে সে মুজিবনগর সরকারের অধীনে যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে ওয়ার কাউন্সিল করার জন্যও বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। জনগণের সমর্থন না থাকলে সবকিছুই আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়।’

অনুষ্ঠানে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম বলেন, ‘আমরা সবাই যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আমাদের নেতা ছিল একজন। একজনের নেতৃত্বেই এদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুচনা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘নেতৃত্ব ছাড়া কোনো যুদ্ধ হয় না।‘

বীর-উত্তম ও বীরপ্রতীক কমোডোর (অব.) আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমি ছিল ফ্রান্সে ছিলাম। পানির নিচে সাবমেরিনে। আমি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে এসে যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। আমার নেতৃত্বে অপারেশন জ্যাকপট হয়। আমরা ১৪ আগস্টে একরাতে অপারেশনে পাকিস্তানের ১১টি জাহাজের মধ্যে ৯ জাহাজ ধংস করে দিতে সক্ষম হই। আর তখনই পাকিস্তানের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়।’

বীরবিক্রম মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। সকল স্তরের মানুষ এই যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। ওই সময়ের ৭ কোটি মানুষ এই যুদ্ধের অংশীদার।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বীর উত্তম এম এইচ সিদ্দিকী, বীরবিক্রম শাহাজাহান সিদ্দিকী, বীরপ্রতীক মেজর (অব.) সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাইমুর ইসলাম খান প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে নয়জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সারাবাংলা/এইচএ/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন