বিজ্ঞাপন

আজ শুভ বড়দিন

December 25, 2017 | 8:40 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ। এই দিনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বেথলেহেমে জন্ম নেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটেছিল।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় আচার, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। আবহমানকাল ধরে এ দেশে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরো সুদৃঢ় করতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী এ পুণ্যদিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঔদার্য এবং মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের কল্যাণ ও উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি আশা করেন, বড়দিন দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরো সুদৃঢ় করবে।

বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক স্বপন রোজারিও জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে । দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিস্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়েছে। ভেতরে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি।

বড়দিন উপলক্ষে বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও এবং মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া গতকাল এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজনকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বড় দিন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য আনন্দ বার্তা বয়ে আসুক এই কামনা করেছেন নেতারা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বাংলাদেশ ছাত্র যুব ঐক্যপরিষদের সভাপতিত্রয় নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, প্রশান্ত কুমার বড়ুয়া, ইউলিয়াম সমাদ্বার ও সাধারণ সম্পাদক রমেন মন্ডলও পৃথক বার্তায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বড়দিন উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকার গির্জাগুলো সাজানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও।
ফার্মগেটের হলি রোজারি চার্চের ফাদার মিন্টু এল পালমা জানান, বড়দিন উপলক্ষে আমাদের প্রস্তুতি তিন/চার সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়। আমাদের দু’ধরনের প্রস্তুতি থাকে। একটি আধ্যাত্মিক ও অন্যটি বাহ্যিক। আমরা আধ্যাত্মিকটিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আর বাহ্যিকটাও যথাযথ গুরুত্ব পায়। আজ আছে চারটি প্রার্থনা। সকাল সোয়া ৬টায়, পৌনে ৮টায়, সাড়ে ৯টায় এবং সকাল ১১টায় প্রার্থনা হবে।

কাকরাইল চার্চের ফাদার খোকন ভিনসেন্ট গোমেজ জানান, বড়দিন উপলক্ষে আমাদের এখানে আজ সকাল ৭টায় একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আমরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। আমরা প্রার্থনা করে থাকি মন্দ দূর করে মুক্তিদাতা যিশুকে হৃদয় থেকে বরণ করে নেওয়ার। এ অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকছে না। শুধুমাত্র খ্রিষ্ট ধর্মাবলীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাচ্চাদের জন্যও বিশেষ কোনো ব্যবস্থা থাকছে না। সেই আনন্দ উৎসব, বিচিত্র অনুষ্ঠানও হবে না।

বিজ্ঞাপন

মগবাজার এজি চার্চের ফাদার গডফ্রে বাড়ৈ জানান, আমাদের এখানে আজ বাংলায় এবং ইংরেজিতে আলাদা আলাদা প্রার্থনা করা হবে। ইংরেজিতে প্রার্থনা শুরু হবে সকাল ৯টায় এবং বাংলায় শুরু হবে সকাল ১১টায়। প্রার্থনা শেষে পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা হবে। আমরা দেশের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করি। শান্তি কামনার জন্য প্রার্থনা করি। অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রাতে কোনও আয়োজন থাকছে না।

সারাবাংলা/এটি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন