ফাইল ছবি
July 12, 2018 | 7:28 pm
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশের মানুষ সুখের মুখ দেখতে শুরু করেছে। কোনো অশুভ শক্তি এসে যেন তাদের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য কেড়ে নিতে না পারে। এটিই আমি দেশবাসীর কাছে সংসদের মাধ্যমে আহ্বান জানাব।
বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দশম জাতীয় সংসদের ২১ তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের বিরোধী দলসহ সব দলই অংশ নেবে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দেশকে বিশ্বের দরবারে যে মর্যাদার আসনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেটা ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনের মূলতবি হয়।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন এবং জনগণ যদি চায় আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবার করার সুযোগ দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করব। এর মধ্যেই দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সকল ঘরে বিদ্যুত পৌঁছাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত সমৃদ্ধ দেশ।
জনগণের কাছে সহযোগিতা আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা মার্কায় তারা ভোট দিয়েছিলেন বলেই ২০০৮ সালে আমরা সরকার গঠন করে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। ২০১৪ সালে আবারোও শত বাধার মুখে জ্বালাও-পোড়াও সবকিছু উপেক্ষা করে তারা ভোট দিয়েছেন। আমরা জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আগামী নির্বাচনেও তারা যদি মনে করে, তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়ে তারা ভুল করেননি, তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন এবং জনগণ যদি চায় আবারোও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেবে।’
শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার বিষয়টি তুলে ধরে বিএনপি-জামায়াত জোটের আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশটা শান্তিপূর্ণ থাক, দেশের উন্নতি হোক, দেশের কল্যাণ হোক, দেশের মানুষ ভাল থাকুক, সেইটুকুই চাই।’
‘জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়া’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত করতে পেরেছি এখন দারিদ্রমুক্ত করাটাই আমাদের লক্ষ্য। আজকে আর কুঁড়েঘর নেই। আজকে টিনের ঘর। যেটুকু মানুষ গৃহহারা আছে (২ লাখ ৮০ হাজার) তাদের জন্য এরইমধ্যে প্রকল্প নিয়েছি। নদীভাঙনে যারা সবকিছু হারিয়েছে তাদের জন্য জায়গা এবং ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার লক্ষ্যে এরইমধ্যে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।’
‘কাজেই কোনো মানুষেই অবহেলিত থাকবে না। সকল শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের কল্যাণের জন্যই কিন্তু আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং আমরা সেই কাজগুলো অব্যাহত রাখব সেটাই আমরা চাই’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এনআর/একে
আরও পড়ুন
জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে ভারত সহায়তা করবে, আশা প্রধানমন্ত্রীর